শনিবার(০৭ আগস্ট) যে কোন সময় উপহারের এ অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করবে বেনাপোল বন্দরে। পরে কাগজ পত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নেওয়া হবে ঢাকাতে।
এতথ্য নিশ্চিত করেছে ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের ২৬-২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফরকালে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলার বাংলাদেশ সরকারকে ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স এখন পেট্রাপোলে এসেছে।বাকি অ্যাম্বুলেন্সগুলো সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে পর্যায়ক্রমে পৌঁছাবে বলে আশা করছে ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন।
জানা যায়, অ্যাম্বুলেন্সের আমদানিকারক দি ভারতীয় হাইকমিশনার। রফতানি কারক
ভারতের ইসএমএল ইসুজি।বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য চালানটি ছাড় করাবেন
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জেড আর করপোরেশন। প্রতিটা অ্যাম্বুন্সের ভারতীয় মুল্য
১৭ লাখ ১৭ হাজার ২০০ রুপি। যা বাংলাদেশি টাকায় ২০লাখ ২০ হাজার ২০০ টাকা
পড়ছে। তবে এ এ্যামবুলেন্সগুলো শুল্ক মুক্ত সুবিধায় বন্দর থেকে ছাড় হবে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে অ্যাম্বুলেন্সগুলো ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে পৌচেছে। বাংলাদেশের প্রবেশের জন্য গেট পাশ হয়েছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অ্যাম্বুলেন্স ঢোকার সম্ভবনা কম। তবে শনিবার প্রবেশ করবে বলে ওপারের সুত্র তাকে জানিয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানান, ভারত থেকে ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স বেনাপোল বন্দর দিয়ে আসার জন্য উত্তরা মোটরসের নামে বৃহস্পতিবার বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখায় গেটপাস (আইজিএম) করা হয়েছে।
এর আগে গত ২১ মার্চ ভারত সরকারের উপহারের প্রথম অ্যাম্বুলেন্সটির (একটি) দেশে পোঁছায় ।
বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম জানান, উপহারের অ্যাম্বুলেন্স বন্দরে ঢুকলে সেগুলো যাতে দ্রুত ছাড় হয় সেক্ষেত্রে সর্বচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।