December 22, 2024, 4:04 pm

সংবাদ শিরোনাম
পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, পুলিশ ও জনগণ একে অন্যের পরিপূরক-রেজাউল করিম মল্লিক দলের পরিবর্তন হয়েছে চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম আপনারা শান্তিতে থাকুন আমরা চাই,আমাদেরকেও আপনারা শান্তিতে থাকতে দিন- ডা. শফিকুর রহমান যশোরে গাছের সাথে বাসের ধাক্কায় নিহত ১ পার্বতীপুরে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত বাংলাভিশন ডিজিটালের নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে নাবিলের অপপ্রচারের প্রতিবাদ হিলিতে বিজিবি দিবসে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার বিজিবির কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে আওয়ামী লীগের নেতা গ্রেপ্তার পটুয়াখালীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৬ গভীর রাতে আশ্রায়ন প্রকল্পের শীতার্তদের পাশে হাকিমপুরের ইউএনও অমিত রায়

২৪ ঘন্টায় আরো ২৩৯ মৃত্যু

ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ২৭১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। গতকাল রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলো ১২ লাখ ২৬ হাজার ২৫৩ জন।

আর, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৩৯ জনের। গতকাল মৃত্যু হয় ২৩৭ জনের। এর আগে ২৭ জুলাই মৃত্যু হয়েছিল ২৫৮ জনের, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২০ হাজার ২৫৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫২ হাজার ২৮২। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৩৩৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ১০ লাখ ৫০ হাজার ২২০ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন ৫৭ জন, খুলনা বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের। বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছর ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রথম মৃত্যুর আড়াই মাস পর গত বছরের ১০ জুন মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়ায়। এরপর ৫ জুলাই ২ হাজার, ২৮ জুলাই ৩ হাজার, ২৫ অগাস্ট ৪ হাজার, ২২ সেপ্টেম্বর ৫ হাজার ছাড়ায় মৃতের সংখ্যা।

এরপর কমে আসে দৈনিক মৃত্যু। ৪ নভেম্বর ৬ হাজার, ১২ ডিসেম্বর ৭ হাজারের ঘর ছাড়ায় মৃত্যুর সংখ্যা। এ বছরের ২৩ জানুয়ারি ৮ হাজার এবং ৩১ মার্চ মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়ায়।

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর ১৫ দিনেই এক হাজার কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু ঘটলে গত ১৫ এপ্রিল মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর পরের এক হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটাতে মাত্র দশ দিন সময় নেয় করোনাভাইরাস। মোট মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায় ২৫ এপ্রিল।

তার ১৬ দিন পর ১১ মে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার এক মাস পর ১১ জুন তা ১৩ হাজার ছাড়িয়েছিল। এর ১৫ দিন পর ২৬ জুন এই সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ৪ জুলাই ১৫ হাজার ছাড়ায় মৃত্যু। মাত্র ছয় দিন পরে গত ৯ জুলাই মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়ায়। গত ১৪ জুলাই এ সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর পাঁচ দিনের মাথায় ১৯ জুলাই মৃত্যু ছাড়ায় ১৮ হাজার। এর পাঁচ দিন পর ২৪ জুলাই মৃত্যু ১৯ হাজার ছাড়ায়। গতকাল ২৮ জুলাই মৃতের সংখ্যা ছাড়ায় ২০ হাজার।

পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় ২২ জুন থেকে ঢাকাকে সারা দেশ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই প্রচেষ্টায় ঢাকার আশপাশের চারটি জেলাসহ মোট সাতটি জেলায় জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের চলাচল ও কার্যক্রম ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

তবে এরপরো করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২৮ জুন থেকে সারা দেশে সব গণপরিবহন ও মার্কেট-শপিং মল বন্ধ করা হয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন, বন্ধ রয়েছে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। সর্বাত্মক লকডাউন ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ঈদ উপলক্ষে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৩ জুলাই শুরু হয় আবারো লকডাউন যা চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত।

//ইয়াসিন//

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর