ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ
সিলেটের এমসি কলেজে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় যৌথ অনুসন্ধান কমিটির ১৭৬ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী ১ নভেম্বর শুনানির দিন নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত। একইসাথে এর আগে দেয়া রুলের নোটিস উভয়পক্ষ পেয়েছে কিনা তা জানাতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনা অনুসন্ধানে যৌথ কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট। সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারকে এই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঘটনার শিকার তরুণী, মামলার বাদি, এমসি কলেজের অধ্যক্ষ, হোস্টেল সুপার, এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী (যদি খুঁজে পাওয়া যায়) ও এই কমিটি যাদের প্রয়োজন মনে করবে, তাদের জবানবন্দি গ্রহণপূর্বক ঘটনার তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া সিলেটের পুলিশ কমিশনরকে বলা হয়, এই অনুসন্ধান কমিটির যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে। আর তদন্তকাজে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সরঞ্জাম সরবরাহ করতে সিলেটের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেই সঙ্গে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরণীকে গণধর্ষণ থেকে রক্ষায় অবহেলা ও কলেজ ক্যাম্পাসে অছাত্রদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কলেজ অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারের নীরবতায় তাদের বিরুদ্ধে যথযথ আইগত ব্যবস্থা নিতে বিবাদিদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া ওই তরুণীকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।
পরদিন সকালে ওই নারীর স্বামী এ ঘটনায় শাহ পরান থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ধর্ষণের ঘটনায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।