ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ
করোনাকালের গত ৪ মাসে দেশে ফিরেছেন প্রায় এক লাখ প্রবাসী কর্মী। ফ্লাইট বন্ধের আগে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটিতে এসে কাজে যোগ দিতে পারছেন না আরো প্রায় ২ লাখ। পাসপোর্ট-ভিসা প্রস্তুত থাকার পরও কাজে যেতে পারেননি আরো অন্তত এক লাখ। করোনার মধ্যে চরম অনিশ্চয়তায় অন্তত চার লাখ কর্মী।
চাকরি হারিয়ে পয়লা এপ্রিল থেকে ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত মধ্য প্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফিরেছেন ২৯ হাজার ৭শ ১৪ প্রবাসী কর্মী। ফেরার তালিকায় ২য় অবস্থানে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সৌদি আরব। সেখান থেকে ফিরেছেন ২০ হাজার ৮২৯ জন।
দেশে ফেরা কর্মীরা জানান, করোনার কারণে কাজ হারিয়ে প্রবাসে অবস্থানের কোনো উপায় ছিলো না। কিন্তু ফিরে যাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে তাদের।
আটকেপড়া এসব কর্মীদের আবারো প্রবাসে ফেরাতে জোর কুটনৈতিক তৎপরতার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। যারা ফিরতে পারবেন না, তাদের জন্য দেশেই কর্মংস্থান তৈরির পরামর্শও দিচ্ছেন তারা।
আওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, আমরা অনেকগুলো ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করছি। একটি পরামর্শ হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। আমাদের গবেষণা বলছে, দক্ষ কর্মীরা বেশি আয় করেন, বেশি সঞ্চয় করেন এবং বেশি অর্থ দেশে পাঠাতে পারেন। ঠিক এই জায়গাটিতেই আমাদের কাজ করতে হবে।
সরকার বলছে, করোনার কারণে বেশিরভাগ দেশেই প্রবাসী কর্মীদের প্রবেশাধীকার দিচ্ছে না। আর এ কারণেই যতো বিপত্তি। তবে এ সংকট দীর্ঘায়িত হবে না বলেই মত পররাষ্টমন্ত্রীর।
বাংলাদেশিদের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্য। সেখানে বাজার হারালে বড় ধরণের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেশের প্রবাসী আয়ে।