October 8, 2024, 6:36 pm

সংবাদ শিরোনাম
প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা!

মনু নদী ভাঙন রক্ষা প্রকল্প একনেকে অনুমোদন..পৌরসভার উদ্যোগে মিষ্টি বিতরণ

আব্দুস সামাদ আজাদ, মৌলভীবাজার (সিলেট) প্রতিনিধিঃ

মৌলভীবাজারের মনু নদী ভাঙ্গন রক্ষা প্রকল্প ব্যায় ৯৯৬  কোটি ২৮ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)।রবিবার সকালে একনেক সভায় “মনু নদীর ভাঙন থেকে মৌলভীবাজার জেলার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলা রক্ষা প্রকল্প” নামের প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয় ।প্রকল্প অনুমোদনের খবরে মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো: ফজলুর রহমান তার কার্যালয়ে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ,সাংবাদিকসহ পৌরসভার কর্মকর্তাদের মাঝে  মধ্যে  মিষ্টি বিতরণ করেন।
এদিকে মৌলভীবাজারবাসীর দীর্ঘ প্রতিক্ষিত এ প্রকল্পটি পাশ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এমপি,নেছার আহমদ এমপি এবং পৌর মেয়র ফজলুর রহমান।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জানান আগামী শূষ্ক মৌসুমে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে ।
তিনি আরো বলেন, মনুর দুই তীরের ৬৭টি স্থানকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থানে জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে অনেক ধরনের কাজ হবে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর প্রকল্পটি অনুমোদন হয়েছে। আরো অনেক প্রক্রিয়া শেষে আগামী শূষ্ক মৌসুমে কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।
মনু নদের বন্যা জেলার কুলাউড়া, রাজনগর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার জন্য একটি স্থায়ী সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতিবছরই এই তিনটি উপজেলার কোথাও না কোথাও মনু নদের প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে কমবেশি বন্যা নিয়ম হয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসল, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ মূল্যবান নানা স্থাপনা। বারবার বন্যার ছোবলে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে নদের দুই পাশের অনেক পরিবার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, জেলার প্রাণকেন্দ্র দিয়ে প্রবাহিত মনু নদ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি এলাকা থেকে উৎপত্তি হয়েছে। ১৬৬ কিলোমিটার দীর্ঘ মনু নদের ৯৩ কিলোমিটার পড়েছে ভারত অংশে। বাংলাদেশে ৭৩ কিলোমিটার। জেলার কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল এলাকা দিয়ে মনু নদ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এরপর কুলাউড়া, রাজনগর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এটি কুশিয়ারা নদীতে গিয়ে মিশেছে। মনু নদের বাংলাদেশ অংশের উভয় তীরে ১৪০ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। অনেক সময় বাংলাদেশ অংশে ভারী বর্ষণ না হলেও উজানে ভারতের ত্রিপুরা অঞ্চলে বেশি বৃষ্টিপাত হলে নদটি দ্রুত ফুলে–ফেঁপে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে নদটি ভরাট হওয়ার কারণে উজান থেকে দ্রুত নেমে আসা পানি ধারণ করতে পারে না। তখন নদের দুই পারের কোথাও না কোথাও বাঁধ উপচে বা বাঁধ ভেঙে বন্যা হচ্ছে। এতে মানুষের ফসলের পাশাপাশি ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও নানা রকম স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে প্রতিবছর রাস্তাঘাট নির্মাণে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্যে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। মনু নদীর ভাঙন থেকে মৌলভীবাজার জেলার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলা রক্ষা প্রকল্প একনেকে পাসের অপেক্ষায় ছিল। সম্পূর্ণ সরকারি (জিওবি) অর্থায়নে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৯৬ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২১ জুন ২০২০ /ইকবাল
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর