রাজিব হোসেন সুজন, বরিশাল ব্যুরো প্রধানঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মীর মনিরের বিরুদ্ধে রাতের আধারে অর্থের বিনিময়ে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে তার অভিভাবক ছাড়াই বাল্য বিবাহের কাজ সম্পুর্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, দক্ষিন পুর্ব গোলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মোসাঃ সাথী বেগম (১৫),পিতাঃ রফিকুল ইসলাম এর মেয়েকে একই গ্রামের আশরাফ আলী মৃধার ছেলে মো. নাজমুল মৃধার সাথে মোতালেব মৃধা, পিতাঃ আদম আলী মৃধার ঘরে বসে বাল্যবিবাহ কাজ সম্পুর্ন করা হয়।এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মীর মনির, কাওছার ওরফে রিন্টু, নজরুল মীর, জাহিদ মীর, উভয়ের পিতাঃ আব্দুল কাদের মীর।
এবিষয়ে কনে সাথির পিতাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এই বিয়ের বিষয় কিছু জানিনা আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে এই বিয়ে দেন শুনেছি মেম্বার মীর মনির সেখানে ছিলেন।অথচ সরকার ঘোষণা দিয়েছেন চেয়ারম্যান মেম্বার বাল্যবিবাহ বন্ধ করবে আর আমাদের মেম্বার রাতের আধারে বিয়ে দিচ্ছে।তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েকে লুকিয়ে রেখেছিল সাত দিন খুজেও পায়নি পরে শুনেছি ঐ মীরা বাড়িতে আছে।আমরা গ্রামের সহজ সরল মানুষ অনেকে বলেছে যা হবার হয়েগেছে এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করার দরকার নেই।কিন্তুু আমি চাই যারা আমার সর্বনাশে সহযোগিতা করেছে সরকারি আইনে তাদের শাস্তি দেয়া হোক।আমি তাদের সাথে গায়ের জোরে পারব না তাই ভয়ে কিছু বলতে পারছি না।
ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে মোতালেব মৃধা বলেন, আমি ও বিয়েতে উপস্থিত ছিলাম মেম্বার মীর মনির ও তার ভাইয়েরা ও ছিলো।তারা ভরসা দিয়েছে বলে আমরাও কিছু বলিনি বর নাজমুল আমার আপন ভাতিজা।মেয়ের বাবা মা কেহই বিবাহতে ছিলো না পড়েও মেনে নেননি।
এবিষয়ে দক্ষিণ পুর্ব গোলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল মাস্টার প্রতিবেদকে বলেন, সাথী আমার বিদ্যালয়ে এসএসসি সমমান পরীক্ষা দিয়েছে বর্তমানে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তার বিয়ে হয়েছে কিনা তা জানিনা।তবে যদি বিয়ে হয়ে থাকে সেটা সরকারি আইন অমান্য করে বাল্যবিবাহ দেয়া হয়েছে।এই কাজ যারা করেছে তাদের প্রতি নিন্দা জানিয়ে শাস্তির দাবি জানান।
এব্যাপারে গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির হাওলাদার বলেন, এধরনের আইন বিরোধী কাজ আমরা প্রশ্রয় দেই না এটা প্রধানমন্ত্রীর আইন মীর মনির আমার পরিষদের সদস্য যদিও এধরনের কোন কাজ করে সেটা আমার অজান্তে আর অপরাধ যেই করুক সরকারি আইনে তার শাস্তি হওয়া উচিত বলে আমি মনে করছি। বিষয়টা আমি জেনে দেখবো।
নিউজের আত্মসমর্পণকারী ইউপি সদস্য মীর মনির হোসেনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বাল্যবিবাহর কথা স্বীকার করলেও পরবর্তীতে বিষয়টি এরিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে সংবাদকর্মীকে বলে আপনি যা জেনেছেন তাই লেখেন আমি আমার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের চাল চুরি ধরেছি পরিষদে সভার চেয়ে আলাদা আমি এসব নিয়ে আমার কথা বলার কোন ইচ্ছে নেই আমি অসুস্থ বলে ফোন কল কেটে দেন।এবং সংবাদ প্রকাশ ঠেকাতে বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা চালায়।পরেরদিন মুঠোফোনে বলেন, সংবাদ প্রকাশ করলে তার কিছুই হবে না বলে প্রতিবেদকে উচ্চস্বরে উত্তেজিত ভাষায় কথা বলেন আর অভিযোগ স্বীকার কারী রফিকুল ইসলাম কে দেখে নিবে বলে হুমকি প্রদান করেন।একপর্যায়ে অর্থনৈতিক লেনদেনের চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে বিয়েতে তিনি ছিলো না যারা ছিলো তাদের ডকুমেন্টস দেয়ার প্রস্তাবেে তার বিরুদ্ধে নিউজ না করার প্রস্তাব রাখেন।
ডিটেকটিভ/১জুন ২০২০/ইকবাল