সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহিম খালেদ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন: শাজাহান খান
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন’ বলে দাবি করেছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। শ্রমিক নেতা হিসেবে তার বাংলাদেশ ব্যাংকে যাওয়া নিয়ে একটি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বেরিয়ে ইব্রাহিম খালেদের সমালোচনা করেন তিনি। পরিবহন শ্রমিক নেতা হিসেবেই বেশি পরিচিত শাজাহান খান এদিন দেশের ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ) নেতাদের সঙ্গে সভা করেন। তার পূর্বনির্ধারিত এই সভা নিয়ে প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল- ‘নৌমন্ত্রী এবার ব্যাংক খাতে’। সভায় অংশগ্রহণকারী সিবিএ নেতাদের যাতায়াত ভাতা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ওই প্রতিবেদনে সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহিম খালেদকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছিল, আমার ৫৪ বছরের কর্মজীবনে এমন সিদ্ধান্তের কথা শুনিনি। মতিঝিলে ব্যাংক ভবনে আলোচিত ওই সভা থেকে বেরিয়ে মন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, আমি যদি ইব্রাহিম খালেদ সাহেবকে প্রশ্ন করি, আপনি না কি ৫৪ বছরেও এই ধরনের বিধান দেখেন নাই, কিন্তু আপনিই তো এই প্রথা চালু করে গেলেন। ইব্রাহিম খালেদ সাহেব ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করেছেন। মিথ্যা কথা বলে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করবেন না। শাজাহান খান বলেন, এখানে যে টিএ-ডিএ বা ভাতার কথা বলা হয়েছে, এটার সাথে তো আমার কোনো সম্পর্ক নাই, এটা ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী চলে। এদিকে মন্ত্রীর এই বক্তব্য উড়িয়ে দিয়েছেন ইব্রাহিম খালেদ। তিনি বলেন, আমার মাধ্যমে টিএ-ডিএ দেওয়ার বিষয়টি চালু হওয়ার কোনো সুযোগ নেই; কারণ আমি ছিলাম সুপারভিশনে, আর এসব টিএ-ডিএ চালু করার কাজ অ্যাডমিনস্ট্রেশনের। বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে করার মধ্যে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নেই বলে দাবি করেন শাজাহান খান। এই নিয়ে প্রশ্ন তোলা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাংলাদেশ ব্যাংকে আগমন নিয়ে যে কথাটা হয়েছে, সেটা নিয়ে আমি আশ্চর্য হয়েছি। কারণ আমি আগেও বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেছি এবং মন্ত্রী হওয়ার পরে আমি এনিয়ে তিন বার এলাম। মন্ত্রী হওয়ার আগে চার বার এসেছিলাম। দুপুর দেড়টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢোকেন নৌমন্ত্রী; তিনি ৩টার দিকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এবারের আসার কারণ ব্যাখ্যা করে শ্রমিক নেতা শাজাহান খান বলেন, এই ব্যাংকের যে সিবিএ, সেটা আমাদের জাতীয় শ্রমিক লীগের সংগঠন। তাদের একটা প্রতিনিধি সভায় আমাকে দাওয়াত দিয়েছে, খাওয়ার দাওয়াত। আমি এসেছিলাম তাদের সাথে দেখা করতে। এই ফাঁকে রোহিঙ্গাদের জন্য শ্রমিকদের ত্রাণ তোলা এবং ২০১৩ থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের তা-বের বিচারের দাবিটি সামনে আনার বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানান তিনি।