জুড়ীতে স্বেচ্ছাশ্রমে আম্বিয়ার বসত ভিটা মেরামত
মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার
জুড়ী উপজেলার হাকালুকি হাওরের কোল ঘেষা বেলাগাও গ্রামের আম্বিয়া। সে উক্ত গ্রামের মৃত কিতাব আলী স্ত্রী। তার স্বামীর রেখে যাওয়া ভিটায় একটি মাত্র মাটির ঘরই ছিল তার শেষ সম্বল। অভাবের কারণে আম্বিয়ার একমাত্র ছেলে অন্যের বাড়িতে খেটে জীবিকা নির্বাহ করে। সহায় সম্বলহীন আম্বিয়া তার দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়ে কোনভাবে জীবন যাপন করে আসছিল। বিগত ৭- ৮ মাস আগে তার একমাত্র সম্বল মাটির ঘরে বন্যার পানি ঢুকে। দীর্ঘদিন পানিতে নিমজ্জিত থাকায় বসত ঘরের দেয়াল ধ্বসে পড়ে। আর হাওরের প্রবল ঢেউয়ে ঘরের ভিটের মাটি সরে যায়। তখন অসহায় আম্বিয়ার মাথা গুজার ঠাই হয় গ্রামের সংবাদিক হারিছ মোহাম্মদের বাড়িতে। সম্প্রতি অসহায় আম্বিয়া ঘর নির্মাণ করতে এগিয়ে আসে জুড়ির কন্ঠিনালা যুব ও সমাজকল্যাণ পরিষদ। গতকাল শুক্রবার সকালে পরিষদের ৫০ সদস্য মিলে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে আম্বিয়া ভিটা ভরাট কওে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মাটি ভরাটের কাজে অংশ নেন ক্লাবের উপদেষ্টা সাংবাদিক হারিছ মোহাম্মদ, সহ সভাপতি জমির আলী, সম্পাদক জাহিদ হাসান জমির, সদস্য ইউনুছ আলী, কালা মিয়া, আবুল মিয়া, সোহেল রানা, নাবিল আহমদ. সাইফুর রহমান, আলাল মিয়া, খোরশেদ মিয়া, মুজিবুর রহমান প্রমূখ। গ্রামবাসী ক্লাব সদস্যদেও এ মহতি উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। ক্লাবের উপদেষ্টা হারিছ মোহাম্মদ জানান- গত বন্যায় এ অসহায় মহিলার ঘর বিধ্বস্ত হলে তার যাওয়ার জায়গা না থাকায় ৮ মাস ধরে আমার বাড়িতে তাকে স্থান দিয়েছিলাম। ক্লাবের সকল সদস্য মিলে ভিটা ভরাট করে দিয়েছি। এবার সবাই সহযোগিতা করে ঘর তৈরী করে দিব। অসহায় আম্বিয়া জানান, ভিটায় মাটি ভরাটের আশা ছিল না। ক্লাবের যুবকেরা হাতে কুদাল নিয়ে মাটির কাজ করে দিয়েছে। অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর মানুষ যে সমাজে এখনও আছে তারা তা প্রমাণ করে দিয়েছে।