সুনামগঞ্জে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৫মে.টন চোরাই কয়লা ও ইয়াবার চালানসহ
৪জনকে আটক করেছে বিজিবি। আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন-জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তরশ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে খাইরুল মিয়া(২০),একই গ্রামের হাবিল মিয়ার ছেলে নুর ইসলাম(২২),বারেক মিয়ার ছেলে আজাদ মিয়া(২১) ও মোটর মোটর সাইকেল চালাক হাবিবুর রহমান(৪০)। এব্যাপারে বিজিবি ও এলাকাবাসী জানায়,জেলার তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট ও লাকমা এলাকা দিয়ে কয়লা ও মাদক মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়া,জানু মিয়া,জিয়াউর রহমান জিয়া,আব্দুল আলী ভান্ডারী ও অস্ত্র মামলার আসামী ল্যাংড়া বাবুল আজ ২২.১১.১৮ইং বৃস্পতিবার ভোর ৫টায় ভারত থেকে ৫হাজার পিছ ইয়াবা ও ৮০মে.টন কয়লা পাচাঁর করে। তারপর পাচাঁরকৃত কয়লা বানিয়াগাঁও গ্রামে নিয়ে মজুত করে। আর ইয়াবার চালান চোরাচালানী খাইরুল,নুর ইসলাম,আজাদ মিয়া ও হাবিবুরকে দিয়ে সীমান্ত পথে মোটর সাইকেল যোগে নেত্রকোনা নিয়ে যাওয়ার সময় সকাল ৯টায় দূর্গাপুর উপজেলার নাজিরপুর এলাকায় ৪জনকে আটক করে বিজিবি। এই খবর পেয়ে টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার আনিসুল হক দুপুর ২টায় বানিয়াগাঁও গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৫টন চোরাই কয়লা আটক করেন। এসময় চোরাচালানী কালাম,জানু ,ভান্ডারী,জিয়া ও ল্যাংড়া বাবুল পালিয়ে যায়। অন্যদিকে বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের বাগলী এলাকার ১১৯৩নং পিলার এলাকা দিয়ে চোরাচালানী মোস্তফা মিয়া মস্তো,আলী হোসেন,হযরত আলী,মঞ্জুল মিয়া,শাহালম,মজিবুরগং লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে গত এক সপ্তাহ যাবত প্রায় ২০০মে.টন কয়লা ভারত থেকে পাচাঁর করে। তারপর সেই কয়লা ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে নদীপথে নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলার সদরের মনতলা নামকস্থানে নিয়ে আজিজ আরদদারের ডিপুতে মজুত করে বিক্রি করে চোরাচালানী মোস্তফা মিয়া মস্তো। এজন্য আজিজ আরদদারকে তার জায়গার ভাড়া বাবদ ১টন চোরাই কয়লা থেকে ১০০টাকা করে চাঁদা দেওয়া হয়েছে। আর বীরেন্দ্রনগর কোম্পানী কমান্ডার বারেকের নামে ১বস্তা কয়লা থেকে ৮০টাকা,থানার নামে ৫০টাকা,বাগলী কয়লা আমদানী কারক সমিতির নামে ১টন চোরাই কয়লা থেকে ১হাজার টাকা করে চাঁদা নিয়েছে বিজিবি ও পুলিশের সোর্স পরিচয়ধারী মস্তো মিয়া,হযরত আলী ও মঞ্জুল মিয়া। এছাড়াও চোরাচালানী মস্তো মিয়া ৪৮টি স্ট্রিলবডি ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে সম্প্রতি প্রায় ২হাজার মে.টন চুনাপাথর পাচাঁর করেছে। দীর্ঘদিন যাবত বীরেন্দ্রনগর সীমান্ত দিয়ে কয়লা ও চুনাপাথর চোরাচালান বন্ধ থাকলেও কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার বারেক যোগদানের পর থেকে এই সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানীদের দৌড়াত্ব আবাও বেড়েগেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এব্যাপারে বীরেন্দ্রনগর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার বারেক বলেন,আমার সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাচালান হয়না এবং আমাদের কোন সোর্স নাই। সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাকসুুদুল হক বলেন,বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে সীমান্ত এলাকায় কেউ চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করলে তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হবে।