চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ)
ছাতকে ভূঁয়া প্রকল্প পরিদর্শন করলেন জাতিয় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের (যুগ্ম সচিব) পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শিশির কুমার রায় সরকারের অতিগুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ব্যক্তিকে প্রতারণায় ফেলে একাধিক ভুয়া প্রকল্প পরিদর্শন করে নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্ঠা চালিয়েছে একটি চক্র, এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে, ছাতক যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার যোগসাজসে এসব জালিয়াতি ও প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে, জানা যায়, গত ২৪সেপ্টেম্বর ছাতক সদর ইউপির মানসীনগর গ্রামের গোলাম আম্বিয়ার পুত্র ছাদিকুর রহমানের পোল্ট্রি ফার্ম, মৎস্য খামার, নার্সারী, গরু মোটাতাজা করন, ঘাস চাষ, সেলস্ সেন্টারসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন জাতিয় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব জাতিয় যুব পুরস্কার ২০১৭সালের জন্যে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত মেসার্স ছাদিক এন্টারপ্রাইজের সাইন বোর্ড সর্বস্ব এসব প্রকল্প পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ খান, সুনামগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হারুন অর রশীদ খান, সহকারি পরিচালক (শৃংখলা) আতাউর রহমান, শাহনূর আলম, ছাতক যুব উন্নযন অফিসার গোপাল চন্দ্র দাস, সিএস আসাদ উল্লাহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় মেসার্স ছাদিক এন্টারপ্রাইজের ভূঁয়া প্রকল্পের মধ্যে ছিল, মানসীনগর গ্রামের আবুল হাসনাতের বাড়িতে গবাদি পশুর খামার, একই গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসি নূরুল হোসেনের স্ত্রী রওশন আরা বেগমের জেলা পরিষদ থেকে ২০১৫সালের ১জুলাই হতে ২০১৮সালের ৩০জুন পর্যন্ত ৩বছর মেয়াদে মৎস্য চাষের জন্যে লিজ নেয়া মানসীনগর মৌজার ৭৭১নং ও ৭৭২নং দাগে ৯১শতক সরকারি পুকুর ও রওশন আরার মালিকানাধিন অন্যান্য পুকুর। এছাড়া ছাতক হাইস্কুল মার্কেটের সুরমা পোল্ট্রি ফার্মের দোকানকে সেলস সেন্টার, আব্দুস সালাম মেম্বারের পুকুরপার ও এর পাশের বকি নদী ভরাট এলাকায় ঘাস চাষ প্রকল্প ও পার্শ্ববর্তী মধুকনি-বকিরপার গ্রামের মৃত আবাব মিয়া তালুকদারের পুত্র আছাদ আহমদ টিটুর গবাদি পশু ও মৎস্য খামারসহ অন্যান্য প্রকল্প পরিদর্শন করেন যুগ্ম সচিব। এগুলোতে ছাদিক এন্টারপ্রাইজের সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে পরিদর্শনকারিদের কাছে এসব প্রকল্প নিজের মালিকানা প্রমাণের অপচেষ্ঠা চালানো হয়। তার প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে এসব খামার মালিকসহ এলাকাবাসি ছাদিক এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে চরমভাবে ক্ষোব্ধ হয়ে উঠেন। এব্যাপারে আছাদ আহমদ টিটু ও রওশন আরা বেগম জানান, ছাদিকের প্রতারণার বিষয়টি ইউপি সদস্য ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তির কাছে বিচার প্রার্থী হয়েছি। প্রয়োজনে আইনানূগ ব্যবস্থা নিতে পারেন বলেও জানান। উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার গোপাল চন্দ্র দাস মধুকুনি এলাকায় ছাদিকের একটি পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে এবং তার আত্মকর্মসংস্থানের জন্য যুব উন্নয়ন হতে ৩বার ঋন প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে ২০১৭সালের শ্রেষ্ঠ যুব পুরস্কারের প্রস্তাব ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাসির উল্লাহ খান জানান, যুগ্ম সচিবের সাথে তিনি এসব প্রকল্প পদির্শনে গেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে আগে কেউ তাকে কিছু অবহিত করেনি। উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরি বকুল জানান, উপজেলা চত্বরেই তিনি যুগ্ম সচিবের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন। তবে প্রকল্প পরিদর্শনে তিনি যাননি বলে জানান।