চট্টগ্রামে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনকৃত ইমনের ড্রামভর্তি গলিত লাশ কবর থেকে উত্তোলন
ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হয়েছে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা ইমরানুল করিম ইমনের লাশ। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া মুনের নেতৃত্বে একটি দল গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে নগরীর চৈতন্যগলির কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া মুন জানান, আদালতের নির্দেশনায় বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা পশ্চিম রাউজান পৌরসভার রেজাউল করিমের ছেলে ইমরানুল করিম ইমনের লাশ তোলা হয়। লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরির পর পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। গত ১৩ আগস্ট নগরীর কোতোয়ালি থানার এনায়েতবাজারে রাণীরদীঘি থেকে ড্রামভর্তি একটি প্রায় গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের কোন পরিচয় না পাওয়ায় বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে ১৬ আগস্ট নগরীর চৈতন্যগলির কবরস্থানে দাফন করা হয়। ১৭ দিন অনুসন্ধানের পর মরদেহের পরিচয় এবং লৌমহর্ষক এই হত্যাকা-ের বিবরণ পায় পুলিশ। হত্যাকা-ের পর পালিয়ে যাওয়া অমিত মুহুরীকে (৩০) ২ সেপ্টেম্বর রাতে কুমিল্লা সদর উপজেলায় আদর নামে একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র থেকে আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে ৩০ আগস্ট রাতে গ্রেফতার করা হয় অমিতের বন্ধু শিশির (২৭) এবং তার বাসার নিরাপত্তারক্ষী শফিকুর রহমান শফিকে (৪৬)। ১ সেপ্টেম্বর শিশির আদালতে জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে অমিত মুহুরী হত্যাকা-ের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ১১ সেপ্টেম্বর ইমনের লাশ চৈতন্য গলির কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের জন্য আদালতে আবেদন করেন তার ভাই ইরফানুল করিম। মানবিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে ১৩ সেপ্টেম্বর ম্যাজিস্টেটের নেতৃত্বে লাশ উত্তোলনের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করেন কোতোয়ালি থানার এসআই মো. হারুন অর রশিদ। আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত থাকার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া মুনকে নিয়োগ দেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মমিনুর রশিদ।