December 11, 2024, 3:24 am

সংবাদ শিরোনাম

রাজস্ব আয় ক্রমাগত বাড়ছে গাড়ি আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায়

রাজস্ব আয় ক্রমাগত বাড়ছে গাড়ি আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায়

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

 

গাড়ি আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ার সুবাদে কয়েক বছর ধরে মোংলা বন্দর কাস্টমস হাউসের রাজস্ব আয় ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে।

 

সর্বশেষ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি হয়েছে ১৫ হাজার ৯০৭টি। এর বিপরীতে মোংলা কাস্টমস হাউস রাজস্ব আদায় করেছে ৩ হাজার ৩৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এই আয় আগের অর্থবছরের তুলনায় ২ দশমিক ১৯ শতাংশ বেশি।

 

মোংলা কাস্টমস হাউস সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গাড়ি আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই বন্দরের কাস্টমস হাউস কখনো কখনো লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। যেমন ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৮১৩ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছিল ১ হাজার ৯৩৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের বছরের তুলনায় ওই বছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩২ দশমিক ২৭ শতাংশ। ২০১৪-১৫ বছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ২২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা, আদায় হয়েছিল ২ হাজার ৪১৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। তখন প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ২০১৫-১৬ বছরে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছিল ২ হাজার ৯৬৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার কোটি টাকা, আদায় হয়েছিল ৩ হাজার ৩৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। তবে এ বছরে প্রবৃদ্ধির হার কমে ২ দশমিক ১৯ শতাংশে নেমে আসে।

 

এদিকে চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ৭২১ কোটি ১৩ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এই সময়ে আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ২১২টি গাড়ি।

 

মোংলা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৩ জুন প্রথম ঢাকার গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হক’স বে অটোমোবাইলস জাপান থেকে ২৫৫টি নতুন ও রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি করে। পরবর্তী ২০০৯-১০ অর্থবছরে এই বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি ব্যাপক হারে বেড়ে ৩ হাজার ১১৯টিতে উন্নীত হয়। এই ধারা পরের বছরগুলোতে অব্যাহত থাকে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আমদানি হয় ১৪ হাজার ৯৬৯টি গাড়ি, যা পরবর্তী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯০৭টিতে।

 

মোংলা কাস্টমস হাউসের উপকমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাজস্ব আয়ের অধিকাংশই আসছে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায়। এই বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানির প্রথম বছর ২০০৯-১০ সালে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৩৪৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরে বেড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া পদ্মা সেতু নির্মাণ, এলপিজি প্ল্যান্ট এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায়ও মোংলা বন্দরের রাজস্ব আয় বেড়েছে।

 

মোংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মারগুব আহমদ বলেন, ‘আমদানি করা পণ্যের সঠিক শুল্কায়ন হওয়া ও ব্যবসায়ীদের সহায়তামূলক মনোভাবের ফলে এই বন্দরের রাজস্ব আয় বাড়ছে। দামি গাড়িগুলোর শুল্কায়নের ক্ষেত্রে আমরা সব সময়ই আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য যাচাই করে থাকি, যাতে শুল্কায়ন সঠিক ও নির্ভুল হয়।’

 

মারগুব আহমদ আরও বলেন, কাস্টমস শুধু শুল্কই আদায় করে না, সেই সঙ্গে অবৈধ বা দেশের জন্য ক্ষতিকারক পণ্য যাতে ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারেও সচেষ্ট থাকে। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে ভবিষ্যতে ব্যবসায়ীরা আরও বেশি করে মোংলা বন্দরমুখী হবেন এবং কাস্টমসের আয়ও তখন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর