December 9, 2024, 11:02 pm

সংবাদ শিরোনাম
ওসমানীনগরে অর্থনৈতিক শুমারি প্রশিক্ষণের সমাপনি অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা হবিগঞ্জের ৪ গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত শতাধিক আদালতের নির্দেশনা মানছেন না জেলা প্রশাসক নন্দীগ্রামে বাসের ধাক্কায় সিএনজি চালকসহ নিহত ২, আহত ৫ সাদুল্লাপুরে পারিবারিক কলহে অটোভ্যান চালকের আত্মহত্যা বান্দরবানে আগুনে এ্যাম্বুলেন্সসহ দুই গাড়ি পুড়ে ছাই বান্দরবান-রুমার বেইলি সেতু ভেঙে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন সাবরিনারা দেশের গর্বের ধন- সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বৈষ্যমবিরোধীছাত্র আন্দোলন কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

রাজধানীর বাজারগুলোতে ইলিশের ছড়াছড়ি

রাজধানীর বাজারগুলোতে ইলিশের ছড়াছড়ি

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

দীর্ঘ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর পুরোদমে চলছে ইলিশ আহরণ। জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে ইলিশের ছড়াছড়ি। তবে তেমন একটা ক্রেতার দেখা না পেয়ে বিক্রেতাদের মুখ ভার। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজার ও রামপুরা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচুর ইলিশ এলেও সাধারণ ক্রেতা নেই বললেই চলে। যারা কিনতে এসেছেন, তাদের প্রায় সবাই খুচরা বিক্রেতা ও হোটেল-রেস্টুরেন্টের কর্মচারী। বিক্রেতারা বলছেন, ইলিশ শিকারে দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞায় বাজারে চাহিদা কম থাকার পাশাপাশি দামও ছিলো বেশি। আবার নিষেধাজ্ঞা শেষের পর গত সোমবার প্রথম দিনে আসার কথা থাকলেও কারওয়ানবাজারে কোনো ইলিশ আসেনি। বিভিন্ন মোকাম থেকে গতকাল মঙ্গলবারই প্রথম ইলিশ এসেছে। আগে বাজারে ও মোকামে ইলিশ না থাকায় বিদেশি ইলিশ বেশি দামে বিক্রি করতে হয়েছে। ক্রেতাদের মধ্যে বেশি দামের সেই ভীতি এখনো রয়ে গেছে। তবে ইলিশ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। সামনে দাম আরও কমবে। ক্রেতার সংখ্যাও ক্রমশ বাড়বে বলেও আশাবাদী বিক্রেতারা। কারওয়ানবাজারে কেজিপ্রতি ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪৫০ টাকা, ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০ টাকা, ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮০০ টাকা এবং ১ কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ কেজি ওজনের আমদানি করা বার্মার ইলিশের মূল্য প্রতি কেজি ১ হাজার ৬০০ টাকা। রামপুরা বাজারে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০ টাকা, ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮০০ টাকা এবং ১ কেজির বেশি ওজনের ইলিশ কেজিপ্রতি ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ানবাজারের পাইকারি ইলিশ বিক্রেতা মো. ওসমান বলেন, বাজারে প্রচুর ইলিশ। কিন্তু কেনা-বেচা নেই। যারা আছেন তারা বিভিন্ন হোটেল বা রেস্টুরেন্টে থেকে এসেছেন বা এখান থেকে কিনে নিয়ে খুচরা বিক্রি করবেন। সাধারণ ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কম। রামপুরা বাজারের ইলিশ বিক্রেতা শামসুদ্দিন বলেন, কিছুদিন আগেও বড় বড় ইলিশ বিক্রি করেছি। অথচ আজ (গতকাল মঙ্গলবার) দেশি ইলিশ আনলেও ক্রেতা কম। ভাবছি, আবার লোকসানে পড়তে হবে না তো? তবে দুএকদিনের মধ্যে আরও বেশি ইলিশ এলে ক্রেতা চাহিদা বাড়বে বলেই মনে করেন তিনি। মা ইলিশ রক্ষা ও ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতে ০১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ফলে ওই দিনগুলোতে ইলিশ আহরণ, বাজারজাতকরণ ও মজুত করতে পারেননি জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর