নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন কে সামনে রেখে দেশের অন্যতম দল জাতীয়তাবাদী বিএনপির দলীয় নমিনেশন পেতে অনেকেই মরিয়া হয়ে উঠেছেন, কে কার আগে দলের হাই কমান্ডের মন জয় করে ছিনিয়ে নিবে সোনার হরিণ নামের বিএনপির দলীয় নমিনেশন!!
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় হবিগঞ্জ -১নবীগঞ্জ বাহুবল আসনে এবার ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির নমিনেশন প্রত্যাশিদের সংখ্যা চোখে পরার মত!!
এই আসনে প্রতিদিনিই প্রার্থীরা ঘুরছেন ভোটাদের ধারে ধারে,আবার বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ও দিচ্ছে উপহার সামগ্রী, এইদিকে সর্বোচ্চদিক থেকে এগিয়ে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক এমপি আলহাজ্ব শেখ সুজাত মিয়া, বিভিন্ন সোর্স মাধ্যমে জানা যায়, নবীগঞ্জ বাহুবল আসনে নিজের জীবন যৌবন বিলীয়ে দিয়ে প্রায় ৩০বছরের ঊর্ধ্বে বিএনপির রাজনীতি করে আসছেন আলহাজ্ব শেখ সুজাত মিয়া, স্থানীয় বিএনপির নেতা কর্মীরা বলছেন এই আসনে সুজাত মিয়ার কোন বিকল্প নেই,যদি দল উনাকে নমিনেশন দেয় তাহলে অতিথের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে এই আসনে বিপুল ভোটে জয় লাভ করবেন এই নেতা,,তবে ছাড় দিতে নারাজ উনারি শিষ্য ও ফুফাতো ভাই নবীগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমেদ চৌধুরী, এই নেতা ও তৃনমুলে আছেন এগিয়ে সেটাও শুনা যাচ্ছে অনেকেই তা বলাবলি করছেন!!
এছাড়া বিএনপির দলীয় পদ থেকে উনাকে স্থগিত করে রাখা হয়েছে, তবে উনিও প্রচুর আত্নবিশ্বাসী খুব শিগগির উনাকে দলীয়পদে পূর্ন বহাল রাখবে এবং এই আসনে উনাকেই ধানের শীর্ষ তুলে দিবে বিএনপি, দাবী করেন সাবেক মেয়র,,, তবে এই নেতাকেও দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন যায়গায় গনসংযোগ এবং ধর্মীয় উৎসবে তারেক রহমানের নির্দেশনা উপহার সামগ্রী বিতরণ করছেন, উনার সমর্থকেরাও হবিগঞ্জ-১ আসন জুড়ে চালিয়ে যাচ্ছে উনার প্রচার প্রচারণা, তবে শোনা যাচ্ছে দুইনেতা বর্তমানে ঢাকাতে অবস্থান করছেন নমিনেশনের জন্য, কে কাকে ভাগিয়ে ছিনিয়ে নিবেন সোনার হরিণ!!
এদিকে এটা দেখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে নেতা কর্মী ও হবিগঞ্জ-১ আসনের মানুষ,,, তবে জল্পনা কল্পনা যতই উঁকি মারছে, বাতাসে নাম ভেসে আসছে আরেক নাম, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জোট বেধে ধানের শীর্ষ প্রতিকে নির্বাচন করে অল্প সময়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী পুত্র ড.রেজা কিবরিয়া, এবারের ত্রয়োদশ নির্বাচনে, সে ও বিএনপির নমিনেশন পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে নবীগঞ্জ বাহুবলের নেতা কর্মীরা বলছেন ভিন্ন কথা,, তাদের দাবী বিএনপির যেকোনো সদস্য কিংবা নেতা যদি নমিনেশন পায় সেটা মেনে নিব,, কিন্তু যে ব্যক্তি দলের কেউ না তাকে কিভাবে আমরা সমর্থন করবো, বিগত ১৭বছর জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে বিএনপির নেতা কর্মীরা, এখন ফসল ভোগ করবে বসন্তের কোকিলরা তা সম্ভব হবেনা,,তবে আরেক প্রবাসী নেতা শাহ মোজাম্মেল নান্টু,, এই নেতারও এই আসনে অনেক সমর্থক ও কর্মী আছে, অনেকেই বলাবলি করছেন অন্ধকারে তীর মেরে উনি না ঘায়েল করে দলীয় নমিনেশন নিয়ে আসেন! কারণ উনার ও দলের হাই কমান্ডের সাথে ভাল সু সম্পর্ক আছে, পাশাপাশি আছেন তালহা চৌধুরী, উনিও প্রবাসী, উনি নমিনেশন পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,তবে জেলা যুবদলের নেতা মোশাহিদ আলম মুরাদ উনি প্রত্যাশা করছেন দল উনাকে নমিনেশন দিবেন,উনার দাবী দল ত্যাগী এবং দলের দুঃসময়ে যারা মাঠে ছিলো তাদেরকেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান মুল্যয়ান করবেন, তবে জামাত কিন্তু বড় সুযোগে আছে,বিএনপি যদি একটু হিসাব নিকাশ ভুল করে, তাহলে পাকাঁ মাঠে গোল দিয়ে দিতে পারে জামাত, কারণ এই আসনে জামাত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা শাজাহান আলী খুবি স্মার্ট দক্ষ উনার রাজনৈতিক কৌশল অল্প সময়ে ভোটাদের মন জয় করে নিয়েছে, যা নজিরবিহীন, এই আসনে হেবিয়েট প্রার্থীও যদি আসে তবে জামাতের শাহজাহাল আলী সাহেবের সাথে খুবিই কম্পিটেশন হবে মনে করছেন এই আসনের ভোটারা!!