ক্রাইম রিপোর্টার সিলেট ঃ
::তিনি ছিলেন ছাত্রদলের পদধারী নেতা।সিলেট মহানগর ছাত্রদলের ২৭নং ওয়ার্ড শাখার আহ্বায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেন ২০২৩ সালে।মো.লিমন আহমদ নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে নিজেই পোস্ট দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছিলেন সবাইকে।সিলেটের স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সে খবর প্রকাশও হয়েছে ফলাও করে।
আবার ছাত্রদলের পদধারী থাকা অবস্থায় এবং পদত্যাগের পরও দীর্ঘদিন পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে তার ছিল গভীর আঁতাত।দলের প্রচণ্ড দুঃসময়ে দাঁড়িয়েছিলেন প্রতিপক্ষের সারিতে। অবৈধ সরকারের নেতাদের সঙ্গে মিলে ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকা এই নেতা এখন আবার খোলস পাল্টে ফেলেছেন।এবার জাতীয়তাবাদী ঘরানার নেতাদের সঙ্গে,আঁতাত করে ফিরেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলে। মোগলাবাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের পদও বাগিয়ে নিয়েছেন।
এমন একজন সুবিধাবাদী ব্যক্তিকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে পূনর্বাসনের কাজটি করছেন কারা?কোন স্বার্থে ফ্যাসিস্টের চিহ্নিত ও পরিচিত দোসরকে স্বেচ্ছাসেবক দলের মোগলাবাজার থানা,সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের পদ দেয়া হলো?
যোগ্য নেতৃত্বের এমন আকাল পড়েছে দলে?দলের দুঃসময়ে লিমন আহমদকে কী পাওয়া যাবে?নাকি আবার ডিগবাজী দিবেন তিনি? এমনসব প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন স্থানীয় ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীরা।তারা স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এবং অবিলম্বে লিমনের মতো বিতর্কিত সুবিধাবাদীদের বাদ দিয়ে মোগলাবাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানাচ্ছেন।
এব্যাপারে লিমনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে পাওয়া যায়নি।