December 27, 2024, 1:55 am

সংবাদ শিরোনাম
মধুপুরে অবৈধভাবে মাটি কাঁটার অপরাধে ৬জনের জেল জরিমানা প্রবাসীকে হয়রানির অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রবাসীকে হয়রানির অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যাল্ডিং শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক নির্বাচনে নব নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ ঝিকরগাছা উপজেলায় যুব অধিকার পরিষদের কমিটি ঘোষণা শার্শার উলশী ইউনিয়ন ভিত্তিক ৬ষ্ঠ হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ১১ বছর পর দেশে ফিরলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির আইন সম্পাদক লিয়াকত সাজাভোগের শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলো ২৬ বাংলাদেশি পুরুষ -নারী বেনাপোল থেকে শুভ উদ্বোধন হলো রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের নবজাতককে পাওয়া গেল রাস্তার পাশে

মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস আজ

বিশেষ প্রতিনিধি:

আজ ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের ঐতিহাসিক বিজয় আর উল্লাসের দিন। এই দিনে পাকাহানাদারদের পরাজিত করে মৌলভীবাজারকে মুক্ত ঘোষণা করেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

একাত্তরের এই দিনে মৌলভীবাজার শহর তথা জেলার সর্বত্র স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা বাতাসের তালে উড়তে থাকে। পাক হানাদারবাহিনীকে হটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শত্রুমুক্ত এলাকা হিসেবে মৌলভীবাজারকে ঘোষনা করেন।

মৌলভীবাজারের প্রাক্তন এমপি ও সংসদের সাবেক হুইপ প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজুর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে ৪ নম্বর সেক্টরের রাজনৈতিক সমন্বয়কারী। এই এলাকায় জেড ফোর্সের সদস্যরা দায়িত্বে ছিলেন। ডিসেম্বরের শুরুতে মুক্তিযোদ্ধারা মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় আক্রমণ আরও তীব্র করেন।

৪ ডিসেম্বর জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। ৫ ডিসেম্বর জেলার সর্বত্র শুরু হয় আক্রমণের পর আক্রমণ। জেলার চারদিক দিকে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে একের পর এক এলাকা শত্রুমুক্ত হতে থাকে।

৫ ও ৬ ডিসেম্বর দুই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা
রাজনগর,শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া ও মুন্সীবাজার এলাকামুক্ত করে মৌলভীবাজার শহর অভিমুখে আসার জন্য অভিযান শুরু করে। ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর মিত্র ও মুক্তিবাহিনী শহর ঘেরাও করে। এখানে মহকুমা হেড কোয়ার্টার থাকার কারণে পাকবাহিনীর ব্রিগেড হেড কোয়ার্টার ছিল।

জানা যায়, জেড ফোর্সের ১৭টি ইউনিটের মধ্যে জব্বার (কুলাউড়ার সাবেক এমপি) ও মুহিবের নেতৃত্বে ২টি ইউনিট কুলাউড়ার দিকে গেলেও বাকি ১৫ টি ইউনিট নিয়ে তারা মৌলভীবাজার শহরে ঢুকার চেষ্টা শুরু করেন। তুমুল যুদ্ধ আর অনেক হতাহতের পর ৭ ডিসেম্বরই মৌলভীবাজার পুরো মহকুমা এলাকা থেকে পাকবাহিনীকে হটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে ঢুকে পড়েন। কিন্তু শহরের বিভিন্ন স্থানে পাকবাহিনী প্রচুর মাইনসহ অস্ত্র পুতে রাখায় রাস্থা থেকে এগুলো অপসারণ ও নিষক্রিয় করার পর ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার মুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার এক মুক্তিযোদ্ধা জানান, মৌলভীবাজার শত্রু মুক্ত ঘোষণাকালে প্রয়াত মির্জা আজিজ আহমদ বেগ প্রথমে যুদ্ধ শেষ করে মৌলভীবাজার এসে পৌছান। তারপর আসেন প্রাক্তন এমপি মোঃ আজিজুর রহমান, সাবেক সমাজকল্যান মন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ মহসীন আলী,মির্জা ফরিদ আহমদ বেগ,খুরশেদ আহমদ,আব্দুল ওয়াহাব চৌধুরী।

তিনি আরো বলেন, সরাসরি পাক সৈন্যের সাথে যুদ্ধে মোকাবেলা করে মৌলভীবাজার ফিরেন- আশরাফ চৌধুরী,আব্দুল লতিফ। তৎকালীন মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান ৮ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টায় তৎকালীন মৌলভীবাজার মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান। তার সাথে ছিলেন- মির্জা আজিজ আহমদ বেগ, সৈয়দ মহসীন আলীসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধারা। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক এডভোকেট হারুনুর রশীদ বলেন, মৌলভীবাজার মুক্ত দিবসে সহযোদ্ধারা অনেকেই বেচে নেই। বছর পর পর যখন ওই দিনটি আসে তখন আবেগ আপ্লুত হয়ে মনটা ভরে যায়।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর