December 21, 2024, 9:56 pm

সংবাদ শিরোনাম
পার্বতীপুরে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত বাংলাভিশন ডিজিটালের নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে নাবিলের অপপ্রচারের প্রতিবাদ হিলিতে বিজিবি দিবসে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার বিজিবির কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে আওয়ামী লীগের নেতা গ্রেপ্তার পটুয়াখালীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৬ গভীর রাতে আশ্রায়ন প্রকল্পের শীতার্তদের পাশে হাকিমপুরের ইউএনও অমিত রায় যশোরে জামিয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার অনুষ্ঠানের ভিডিও নিয়ে তোলপাড় পটুয়াখালীতে রাখাইনদের ধান লুটের ঘটনা মিথ্যে দাবী করে যুবদল নেতার মানববন্ধন ভারত সীমান্তের ইছামতী নদীর তীর থেকে ৩ বাংলাদেশী যুবকের লাশ উদ্ধার সেন্টমার্টিন দ্বীপে শতাধিক ইট-পাথরের স্থাপনা : ২০৪৫ সালের মধ্যেই সাগরে তলিয়ে যাবার আশংকা

তামাবিল স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্যাংকলরীতে আগুন

তামাবিল স্হল বন্দরে ভারত থেকে মিথানল নিয়ে আসা একটি ট্যাংকলরীতে অগ্নীকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ সময় লরীতে মিথানল না থাকায় ভয়াবহ দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে তামাবিল স্হল বন্দর ও এর আশপাশের আবাসিক এলাকা।

স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৯ই নভেম্বর) দুপুর ১:৩৫ মিনিটে ভারতীয় ট্যাংকলরী ( NLO-LA-H 9493) তে আগ্নীকান্ডের সূত্রপাত হয়। এ সময় তামাবিল স্থলবন্দর থেকে জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনে খবর দেয়া হয়। কিন্তু ১২ কিমি দুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী আসতে বিলম্ব ভেবে তাৎক্ষণিকভাবে ভারতের ডাউকি স্থলবন্দর থেকে অগ্নিনির্বাপক গাড়ী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এরপর মিনিট দশেক সময়ের ভিতরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ বিষয়ে তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আমিনুল হক বলেন, গত ৫ই নভেম্বর বাংলাদেশের মিথানল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সামুদা স্প্রেক ক্যামিকেল লিমিটেডের নামে ৭টি গাড়ী তামাবিল স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। পরে ল্যাবরেটরী পরীক্ষা শেষে শনিবার বাংলাদেশের ট্যাংকলরীতে ক্যামিকেলগুলো স্হানান্তর করা হয়।

প্রতিটি ভারতীয় ট্যাংকলরীতে ২৮-৩০ টন মিথানল থাকে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, আগুন লাগা গাড়ীটি সাতটি আমদানি হওয়া গাড়ীর সর্বশেষ গাড়ী ছিলো।

অগ্নীকান্ডের সূত্রপাত কিভাবে, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুড়ে যাওয়া গাড়ীর চালক সারভান বলেন গাড়ীর ভিতরে ওয়্যারিং শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। বাকিটা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

এ দিকে মিথানলের গাড়ীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ও স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্হা না থাকায় স্হানীয় ব্যবসায়ী ও স্থলবন্দর শ্রমিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

এ বিষয়ে তামাবিল কয়লা চুনাপাথর আমদানি রপ্তানি কারক গ্রুপের সহ সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন,বিগত ছয় মাস পূর্বে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্হা নিশ্চিত করে ক্যামিকেল আমদানির বিষয়ে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছিলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্যকর কোন ব্যাবস্হা নেয়ার উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন দ্রূত সময়ের মধ্যে ক্যামিকেল আমদানির পূর্বে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্হা নিশ্চিত করা আহবান জানান তিনি।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর