October 10, 2024, 8:29 am

সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা সংশোধন করিতে হবে – পর্ব ৯ আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন ও জনগণের প্রীতি আহ্বান – পর্ব ৮ প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি

কুয়াকাটায় কালভার্ট ও খাল দখল করে স্থাপণা নির্মাণ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

কুয়াকাটায় কালভার্ট ও খাল দখল করে বিশালাকৃতির ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ সহ খাল ভরাট হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে। পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের কম্পিউটার সেন্টার সংলগ্ন আশ্রায়ন প্রকল্পে এ দখল কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এমন দখল দূষণের কারণে পরিকল্পিত নগরায়ন কতটুকু বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে পৌরবাসীর। এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় ভূমি প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে স্থানীয়রা জানালেও বন্ধ হয়নি নির্মাণ কাজ।
জানাগেছে, কুয়াকাটা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দা জামাল মাঝির ছেলে আলী হায়দার আশ্রায়ন প্রকল্পের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রবাহমান খালের ঊপরে বিশালাকৃতির একটি টং ঘর নির্মাণ করেছে। ওই টং ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে সদ্য নির্মাণ করা একটি বক্স কালভার্ট ঘরের নিচে চাপা পরে গেছে। আশ্রায়নের কোল ঘেষে বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ওই এলাকার ফসলি জমিসহ জমে থাকা অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত খালের দুই দিক দিয়ে দখলে নিচ্ছে সুবিধা ভোগিরা। এতে খালটি সরু হতে হতে বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। তদারকির অভাবে খালের পশ্চিম মাথা ভরাট করে দখলে নিয়েছে কতিপয় দখলবাজরা। পুর্ব দিকে করা হয়েছে মাছের ঘের। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজশে চলে আসছে এ দখল প্রক্রিয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশ্রায়ন প্রকল্পের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, দখল দূষণের কারণে খালটি ভরাট হয়ে গেছে। যেটুকু বাকি আছে তা ভরাটের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দিন দিন যেভাবে খাল ভরাট ও দখল হয়ে আসছে তাতে আগামীতে খালের কোন অস্থিত্ব থাকবে না এমন মন্তব্য সচেতন নাগরিকদের।
খাল ও কালভার্ট দখল করে ঘর নির্মাণ করার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত আলী হায়দার সাংবাদিকদের জানান, খালের ঊপর টং ঘর নির্মাণ করেছেন তিনি এটা সত্য। তবে ঘরের নীচ দিয়ে পানি চলাচল করতে পারবে। কালভার্ট দিয়ে পানি নিষ্কাশনেও কোন সমস্যা হবে না। তিনি দাবি করেন, এ বিষয়ে পৌর কাউন্সিলর, মেয়র ও ভূমি অফিসের লোকজন অবগত রয়েছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ তৈয়বুর রহমান বলেন, এই খাল দিয়ে অত্র এলাকার পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছে। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ঘের নির্মাণসহ নানা ভাবে দখল হয়ে গেছে খালটি। খাল রক্ষায় ভুমি কর্মকর্তারা উদ্যোগ না নেওয়ায় দখল রোধ করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে মহিপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আ.ন.ম মুরাদুল ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানে না। তার অফিসের অন্যরা জানতে পারে। কুয়াকাটা গিয়ে বিস্তারিত জানবেন।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর মেয়রের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। কেউ তাকে জানায়নি। কাউন্সিলরের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আস্বস্ত করেছেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তিনি তহসিলদার পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলে দিয়েছেন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর