চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে তরুনীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের ঘটনায় ২ জন ধর্ষককে আটক করেছে থানা পুলিশ। গত শনিবার ভিন্ন ভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ১৯ নভেম্বর রোববার দুপুর ১২টায় প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ। এ সময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুন, চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশিদ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির শিকদার উপস্থিত ছিলেন। আটককৃত হল- চিরিরবন্দর উপজেলার মাঝাপাড়ার আব্দুল গণি দুলুর ছেলে মোঃ আল আমিন (২৬) ও উপজেলার রেলকলোনী এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে রুবেল ইসলাম (৩০)।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৪ নভেম্বর রাতে চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের সরকারপাড়ায় একটি ধানক্ষেতে এক তরুণী (২০) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। পরে থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে দিনাজপুর এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণীর বড় বোন বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। ঘটনাটির পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক ছিল। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার ২নং আসামি আল আমিনকে র্যাব-৬’র সহযোগিতা বাগেরহাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিকভাবে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
তিনি আরও বলেন, তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পূর্বে একটি নির্মাণাধীন বাড়ীর ৮ ফুট উচু থেকে ধানক্ষেতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ওই তরুণীর কোমরের হাড় ফেটে গেছে। যে ভ্যানে তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেই ভ্যানের চালক আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছে। এ লোমহর্ষক ঘটনায় অপরাধীরা যতই শক্তিশালী হোক, তদন্তে প্রমাণিত হলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য ওই তরুনী গণধর্ষনের শিকার হয়ে বর্তমানে আশংকাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে।