মোঃ আমিরুল ইসলাম রাজু
রংপুরের বাজারে নিত্য পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি ও বৈরী আবহাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে আবারো আলুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে বাজারে আলু ক্রয় করার ক্ষমতা হারাচ্ছে সাধারণ ক্রেতা। সাধারণ মানুষের শেষ ভরসা আলুর ভর্তা দিয়ে হলেও ভাত খেয়ে নিজে ও পরিবারের লোকদের জীবন ধারন করছিলেন। কিন্তু বর্তমানে আলু বাজারে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি আলু ৫২/৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আড়ৎ দারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এখনো যে পরিমান আলু হিমাগার গুলোতে মজুত রয়েছে, তা সিন্ডিকেটেরাই নিয়ন্ত্রন করছে আলুর বাজার। বাজারে ক্রেতা সাধারন জানান, গত কয়েক দিন আগেও প্রতি কেজি আলু ডায়মন্ড২৭/২৮ টাকা দরে বিক্রি হতো। কিন্তু বর্তমানে বাজারে একই আলু ৫২/৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপর দিকে দেশী জাতের আলু প্রতি কেজি ৬০/৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে হিমাগারে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত পরিমানে আলু মজুত রয়েছে বলে সাধারন ব্যবসায়ীরা জানান। এ সকল আলু বিক্রি ও বাজার নিয়ন্ত্রন করছে এক শ্রেণীর অসাধু ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী। এ ব্যাপারে ক্যাব রংপুর জেলার সহ-সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, রংপুর অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে আলু উৎপাদন হয়। এ সকল আলু হিমাগার গুলোতে মজুত রাখা হয়। বর্তমানে হিমাগার গুলোতে প্রচুর আলু মজুত থাকা সত্যে এবং নিত্য পন্য পিয়াজ, রসুন, আদা কাচা মরিচ এর দামের সাথে তাল মিলিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে আলুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়াও বর্তমানে দেশের বাহিরেও আলু রপ্তানী হচ্ছে না। ফলে বাজারে ক্রমশ আলুর দাম বৃদ্ধি হওয়ায় ক্রেতা সাধারনের জন্য ক্রয় ক্ষমতার লক্ষে আলুর বাজার তদারকি ও মনিটরিং জোরদার করা জরুরি প্রয়োজন বলে ক্যাব জেলা সহ-সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সচেতন বিজ্ঞমহল মনে করেন।