পীরগঞ্জ প্রতিনিধি
মোস্তফা মিয়াবস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের অধীন পাট অধিদপ্তরের পীরগঞ্জ (রংপুর) উপজেলায় কর্মরত অফিসার চায়না বেগমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণ -১৭ই আগস্ট২০২৩ইং কে কেন্দ্র করে তার অপকর্ম নগ্নভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসন ও পাট অধিদপ্তরের আয়োজনে স্থানীয় অডিটরিয়াম হলরুমে পাটবীজ উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণ -২০২৩ এর আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণে পাট অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক সোলায়মান আলী, জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা একেএম মাহবুব আলম বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইকবাল হাসান, উপজেলা পাট কর্মকর্তা চায়না খাতুন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সাদেকুজ্জামান সরকার উপস্থিত ছিলেন ।
এই প্রশিক্ষণে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে পাট বীজ উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণের জন্য প্রকৃত কৃষকদের মধ্য হতে ৭৫জন পাট চাষীকে নির্বাচিত করার কথা ছিল কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার চায়না বেগম বরাবরের মত এবারো এই প্রশিক্ষণে তার মা, বোন, ভাগ্নি, বাসার কাজের মেয়ে, পল্লী উন্নয়ন অফিসের পিয়ন, পি আই ও অফিসের কর্মী গোলাপী বেগমসহ নিকট আত্মীয়দের প্রশিক্ষণ নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, কৃষক না হয়েও প্রশিক্ষণে বিশেষ উদ্দেশ্যে আত্মীয়দের যুক্ত করেছেন চায়না বেগম।
গত বছরও উক্ত চায়না বেগম একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। সে সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভবিষ্যৎ আর এরকম অপকর্ম হবে না কিন্তু কথা দিয়ে কথা রাখেননি।
প্রশিক্ষণে কেন মা, বাবা, বোন আত্মীদের যুক্ত করেছেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে চায়না বেগম অনেকটা উত্তেজিত হয়ে উঠেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যাদের তিনি প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দিয়েছেন তাদের কোন প্রকার জমি নেই। এমনকি জমি বর্গা নিয়েও কোন আবাদ করেন না তারা। মুলত নগদ ৮শ ৮০ টাকা নগদা হাতিয়ে নেয়ার জন্যই এ অপকর্ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে পাট অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক সোলায়মান আলী বলেছেন, কর্মকর্তার নিকট আত্মীয় প্রশিক্ষণে যদি থাকে, সে যদি পাট চাষি হয়, তাহলে আমার কিছু করার নেই।
জমি এবং আবাদ যদি না থাকে তাহলে তবে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমন প্রশ্নের কোন জবাব সহকারী পরিচালক সোলায়মান আলী দেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন।