লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার রায়পুর টু পানপাড়া সড়কটি ৯ কোটি ১৭ লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কারের মাত্র এক সপ্তাহ না পেরোতেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। কোথাও কোথাও সড়ক দেবে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। এছাড়া দেখা দিয়েছে অসংখ্য ফাটল। এখনো নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। সংস্কার-পরবর্তী এমন বেহাল চিত্র দেখা দিয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ রায়পুর-পানপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের খোয়া, বিটুমিনসহ অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করায় দ্রুত কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে দুষছেন অধিক লোডের গাড়ির চালকরা। দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। এছাড়া ঠিকাদার অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কোনো অভিযোগ করছে না।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সড়কটির ছয় কিলোমিটারের সংস্কারকাজ চলছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। টেন্ডার পেয়ে গত বছর মে মাসে কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তমা কনস্ট্রাকশন ও এমএ ইঞ্জিনিয়ারিং। এরই মধ্যে সড়কটির প্রায় ছয় কিলোমিটার কার্পেটিং শেষ হয়েছে। কিন্তু পুরো কাজ শেষ হতে না হতেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
স্থানীয় ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন, শুরু থেকেই পুরোনো ইট তুলে খোয়া তৈরি করে সড়কটিতে ব্যবহার করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া দায়সারাভাবে নিম্নমানের বিটুমিনের প্রলেপ দিয়ে তড়িঘড়ি করে কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করায় সড়কটি টেকসই হয়নি। এ কারণে যানবাহনের সামান্য আঘাতেই নতুন কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।
সড়কে নিয়মিত সিএনজিচালিত অটোচালকরা বলেন, প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে মালামাল নিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। দীর্ঘদিন বেহাল থাকার পর সড়কটির কাজ শুরু হয়েছে। সড়কটিতে গাড়ি চলাচল বেশি। এসব জানা সত্ত্বেও এমন নিম্নমানের কাজ অত্যন্ত দুঃখজনক।
ঠিকাদার আবু হাতের মুঠোফোনে দাবি করেন, সড়কটিতে ভালোভাবে কার্পেটিংয়ের কাজ করা হয়েছে। নতুন করে কার্পেটিং শেষ করার পরপরই যানবাহন চলাচল শুরু করায় চাকার আঘাতে দু-একটি জায়গায় কার্পেটিং উঠে গেছে। সুবিধামতো সময়ে তা আবার মেরামত করে দেওয়া হবে।
সড়কটি কার্পেটিং কাজে তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তফা মিনহাজ বলেন, শিডিউল অনুসরণ করেই সড়কটি পাকাকরণের কাজ শেষ হয়েছে। মেইনটেনেন্স এর আওতায় এক বছর অর্থাৎ ৩৬৫ দিন তাদের হাতে রয়েছে সড়কর কোথাও কোনো খারাপ বা কোনো গর্ত সৃষ্টি হলে বা ভেঙে গেলে তা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংস্কার করতে বাধ্য। আমরা বিষয়টি তদারকি করে দেখছি।
নজির আহম্মদ