December 26, 2024, 5:07 pm

সংবাদ শিরোনাম
শার্শার উলশী ইউনিয়ন ভিত্তিক ৬ষ্ঠ হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ১১ বছর পর দেশে ফিরলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির আইন সম্পাদক লিয়াকত সাজাভোগের শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলো ২৬ বাংলাদেশি পুরুষ -নারী বেনাপোল থেকে শুভ উদ্বোধন হলো রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের নবজাতককে পাওয়া গেল রাস্তার পাশে ঢাকা সিটির সাংবাদিকদের নিয়প আলোচনা সভা গৌরনদী মডেল থানায় বরিশাল জেলার বিদায়ী পুলিশ সুপারকে বিদায়ী সংবর্ধনা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে গৌরনদীতে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে অসামাজিক কাজে জরিত থাকার অভিযোগে নারী সহ আটক-৩। টঙ্গি ইজতেমার মাঠে হামলার প্রতিবাদ খুনিদের বিচার ও কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবীতে হিলিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

এক লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে বায়োমেট্রিক গননা নিবন্ধনে রোহিঙ্গাদের আগ্রহ বাড়ছে

এক লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে বায়োমেট্রিক গননা নিবন্ধনে রোহিঙ্গাদের আগ্রহ বাড়ছে
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কার্যক্রম বেশ পুরোদমেই চলছে। ত্রিশ সেপ্টেম্বর থেকে উখিয়া ও টেকনাফে বারটি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদের পাঁচটি নিবন্ধন বুথের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে কার্ড দেয়ার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গারা ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র হাতে পেয়ে বেশ খুশি। কিছুদিন পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের সময় জাতি হিসেবে ‘রোহিঙ্গা মুসলিম’ লেখা না হওয়ায় তাদের মধ্যে মিশ্র হতাশা ছিল। যার দরুণ রোহিঙ্গাদের এনআইডি কার্ড নিতে অনিহা থাকায় নিবন্ধন বুথগুলোতে রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি ভাটা ছিল। কিন্তু গত শনিবার থেকে এনআইডি কার্ডে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম লেখায় এ হতাশা কেটে গেছে। এখন তারা স্বাচ্ছন্দে লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কার্ড নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। তবে নিবন্ধনের দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, আগামি দু’তিন মাসের মধ্যে সকল রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
পঁচিশ আগস্ট মিয়ানমারে সহিংসতার পর পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পাঁচ এর ঊর্ধ্ব বয়স্কদের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, কত তারিখ এসেছে, মিয়ানমারে তাদের বাড়ির সংক্ষিপ্ত ঠিকানা লিপিবদ্ধসহ ছবিযুক্ত আংগুলের ছাপ নিয়ে লেমিনেটিং করে পরিচয়পত্র প্রদান করা হচ্ছে।
কার্ড পাওয়া কয়েকজন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ বলেন, ‘মিয়ানমারে না হোক, বাংলাদেশে এসে অন্তত মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র পেয়ে খুব খুশি হয়েছি। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা নাগরিক হিসেবে মেনে নিলে আমরা নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে শিগগিরই ফিরে যেতে চাই’। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনের মুখে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে এপর্যন্ত উখিয়া টেকনাফে এক লক্ষ ৪২৩ জন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের আওতায় এসেছে।
পরিচয় পত্র গলায় ঝুঁলিয়ে বুথ থেকে বেরিয়ে আসা কিশোরী আসমা, আছিয়া ও গফুর বলেন, তারা মিয়ানমারের জাতীয়তা হিসেবে নিবন্ধন হতে পেরে আনন্দিত। বিভিন্ন সূত্র মতে জানা যায়, বাংলাদেশ সীমান্তের মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যটি (পরিবর্তিত নাম রাখাইন স্টেট) এক সময়ে আকিয়াব জেলা হিসাবে পরিচিতি ছিল। এখন এটিকে ৪টি জেলায় বিভক্ত করে মিয়ানমার সামরিক সরকার। জেলাগুলো হচ্ছে- সিটউয়ে, মংডু, চপ্রু, টাংগুয়ে।
চারটি জেলার অধীনে গোটা রাখাইন রাজ্যকে সতেরটি থানা বা টাউনশীপ করা হয়। টাউনশীপগুলো হলো- আকিয়াব, মংডু, বুচিদং, রাচিদং, পুংনাজুয়ে, কিয়ট্রা, পাত্তরিকিল্লা, মামব্রা, পকটু, ¤্রগুং, অং, চপ্রু, রামব্রি, মেঅং, টংগু, টেংগুয়ে, গোয়া।
এখানে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত মংডু ও বুচিডং। এই আরাকান রাজ্যে বসবাসকারী মুসলমানরা বিশেষ করে গত তিন বছরে সেনা ও উগ্রপন্থী মগদের সর্বক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হয়ে শিক্ষা-দীক্ষায় এমন পিছিয়ে পড়ে যা বলার ওপেক্ষা রাখে না। তারা নিজে কোন্ জেলা বা থানার বাসিন্দা তাও বলতে পারেনা। ‘সকলের মুখে একই অবস্থা- থানা মংডু, জেলা আকিয়াব’। অথচ উনিশ শ চুয়াত্তর থেকে থেকেই নতুন জেলা ও থানার প্রশাসনিক শাসন ব্যবস্থা চলে আসছে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর