ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
৫ম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে ৬০ বছরের বৃদ্ধ ছিদ্দিক উল্ল্যাকে আটক করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে রামগঞ্জ উপজেলার পানিয়ালা বাজারের পূর্ব পাশে একটি পরিত্যাক্ত ঘরে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টায়ও ধর্ষিতার জ্ঞান ফিরেনি।
ঘটনার পর ওই ছাত্রীর মা কাজলী বেগমসহ স্থানীয় লোকজন মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা কুচাতলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সংবাদ পেয়ে সোমবার দিবাগত রাতে রামগঞ্জ থানার এসআই ফারুখ আহম্মেদ অভিযুক্ত ধর্ষক ছিদ্দিক উল্ল্যাকে আটক করেছে।
এ ব্যাপারে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলা পানিয়ালা বাজারের পূর্ব পাশে সোমবার বিকাল আনুমানিক ৩টায় নির্মানাধীন পরিত্যাক্ত একটি নির্জন বাড়িতে ছাত্রীকে নিয়ে যায় ছিদ্দিক উল্ল্যা। পানিয়ালা বাজার সংলগ্ন ভাটরা ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামের ঐ ধর্ষক ৭ সন্তানের জনক এবং রিক্সা মিস্ত্রি । আর ভিকটিম পানিওয়ালা নিউ রেনেসা কিন্টার গার্টেনের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী।
লম্পট ছিদ্দিক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করার সময় পাশের বাড়ির জনৈক মহিলা শিক্ষক ঘটনাটি দেখে ফেলে। ঘটনাটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে।ভিকটিমকে প্রথমে পানিয়ালা বাজার দারুস সালাম সেন্ট্রাল হাসপাতাল এরপর রামগঞ্জ ফেমাস হাসপাতাল থেকে রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র রেফার করে। এরপর তাকে দ্রুত কুমিল্লার কুচাতলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে ওই হাসপাতালেই ভিকটিমকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনার পর পরই স্থানীয় পানিয়ালা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ সুমন ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ নবী, জয়দেবপুরের মেম্বার মোঃ সোহেলসহ একটি মহল ধর্ষিতার অসহায় পরিবারকে থানায় না পাঠিয়ে সুষ্ঠু মিমাংসার আশ্বাস প্রদান করে এবং ঘটনাটি জানাজানি না করার জন্য ধর্ষিতার মা কাজলী বেগমকে মোটা অংকের অর্থের প্রলোভন দেখায়।
স্থানীয় মেম্বার নবী উল্ল্যা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে ধর্ষক ছিদ্দিক উল্ল্যার কাছ থেকে কিছু টাকা-পয়সা নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু ছিদ্দিক রাজি না হওয়ায় তার দোকানে তালা মেরে দেয়ারও হুমকি দিয়েছি। সর্বশেষ রাজি না হওয়ায় তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছি।
ধর্ষিতার মা কাজলী বেগম জানান, লম্পট ছিদ্দিক আমার মেয়েকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। আমি এর বিচার চাই বলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ জাফর আহম্মেদ জানান, এ বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। মূল আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।