বিল্লাল হুসাইন, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
শার্শার বাগআঁচড়ার বাগুড়ী গ্রামের স্বামীর সংসার ফিরে পেতে শিউলি খাতুন নামের এক গৃহবধূর সংবাদ সম্মেলন। এক সন্তনের জননী এই গৃহবধূ ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের রাজবাড়িয়া গ্রামের শাহাজান মোড়লের মেয়ে । ন্যায় বিচার পেতে সে সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
বুধবার বাগআঁচড়া প্রেসক্লাব আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গৃৃহবধু শিউলি খাতুন জানান, শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ার বাগুড়ী গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুর সালামের সাথে ৪ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়াত মোতাবেক তার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে বেশ কিছু দিন ভাল ভাবে স্বামী সংসর চলছিল। হঠাৎ স্বামী ও শশুর -শাশুড়ী শিউলি খাতুনের বাবা-মার কাছে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে।
স্বামী ও শশুর- শাশুড়ীর যৌতুক চেয়ে চাপাচাপি করলে শিউলি খাতুন বাপের বাড়ি থেকে নগত ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণ অলংকারসহ ২ লাখ টাকার আসবাবপত্র নিয়ে আসে।
তার পরও স্বামী আব্দুর সালাম আরো যৌতুক দাবি করে। এরই মধ্যে শিউলি খাতুনের কোলে আসে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান। এদিকে স্বামী ও শশুর – শাশুড়ী আরো যৌতুক না পেয়ে শিউলি খাতুনের উপর বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে তাকে বাবার বাড়িতে রেখে আসে। গৃহবধূ শিউলি খাতুনকে বাবার বাড়িতে রেখে আসার পর থেকে ৭-৮ মাস তার ও তার সন্তানের কোন খোজ খবর নেইনি আব্দুর সালাম।
সম্প্রতি শিউলির স্বামী আব্দুর সালার শিউলিকে তালাক নামার কাগজ পত্র পাঠিয়েছে তার বাবার বাড়ি। এব্যাপারে শার্শার কায়বা ইউনিয়ন পরিষদে শিউলি খাতুন অভিযোগ করেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান অভিযোগের ভিত্তিতে আব্দুস সালামকে নোটিশ করলেও আব্দুস সালাম হাজির না হওয়ায় চেয়ারম্যান উচ্চ আদালতে যাওয়ার জন্য লিখিতভাবে জানিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় গৃহবধূ শিউলি খাতুন ন্যায় বিচার ও স্বামী-সংসর ফিরে পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।