October 9, 2024, 12:23 am

সংবাদ শিরোনাম
প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা!

মন্দার প্রান্তে হংকং

মন্দার প্রান্তে হংকং

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে চলতি বছরের শুরু থেকেই অর্থনীতির গতি ধরে রাখাত হিমশিম খাচ্ছিল বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র হংকং। কিন্তু টানা তিন মাসের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে আধা স্বায়ত্তশাসিত এই চীনা শহর এখন পৌঁছে গেছে মন্দার প্রান্তে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেনাকাটা আর খাবারের জন্য পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় এই শহরের হোটেল রেস্তোরাঁগুলো এখন অনেকটাই ফাঁকা। ব্যাংকগুলোর আর্থিক হিসাব সতর্ক সংকেত দিচ্ছে। বড় কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে বড় একটি ইকুইটি চুক্তি। এই পরিস্থিতিতে হংকংয়ে এ বছর খুচরা বিক্রির পরিমাণ ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। বিনিয়োগকারীরা আশপাশের অন্য কোনো এশীয় শহরে ব্যবসা সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছেন। সব মিলিয়ে অর্থনীতির সবগুলো সূচক চাপে পড়ায় গত এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মত অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি গতে যাচ্ছে হংকং। সরকারবিরোধী বিক্ষোভে প্রতিদিনই শহরের স্বাভাবিক জীবযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এর মধ্যে পুলিশের মারমুখি ভূমিকায় এ শহরের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ হুমকির মধ্যে পড়ছে। বাজার বিশ্লেষক এডিসন লির ভাষায়, হংকংয়ের অর্থনীতি এত বড় সংকটের মুখে আর কখনো পড়েনি। ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে চীনাদের নিয়ন্ত্রণে আসার সময় হংকংয়ের অর্থনীতি ছিল চীনের মোট অর্থনীতির ১৮ শতাংশের মত। ২০১৭-১৮ সালে চীন ১২৫ বিলিয়ন ডলার সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ পায় এর মধ্যে ৯৯ বিলিয়ন ডলারই আসে হংকংয়ের মাধ্যমে। কিন্তু বড় অর্থনীতির অনেক দেশেই নতুন করে মন্দার শঙ্কা উঁকিঝুঁকি মারতে শুরু করে গতবছর থেকে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে শিল্পোৎপাদন বিশ্বজুড়ে কমতে থাকে। পাশাপাশি কমতে থাকে করপোরেট আস্থা।এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ এখনকার মত প্রবল হয়ে ওঠেনি। তখনই হংকংকের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগের প্রান্তিকের তুলনায় ০.৪ শতাংশ কমে যায়। আর এরপর বিক্ষোভ আর সহিংসতা পুরো হংকংজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। যান চলাচল প্রতিদিনই ব্যাহত হতে থাকে। অচল হয়ে পড়ে জনপ্রিয় শপিং মল ও পর্যটন এলাকাগুলো। এমনকি হংকংয়ের বিমানবন্দরও কয়েক দফা বন্ধ থাকে বিক্ষোভের কারণে। এই প্রেক্ষাপটে বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে হংকংয়ের জিডিপি প্রবৃদ্ধি যে আরও কমছে তা নিশ্চিত হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, পুরো বছর মিলিয়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি শূন্য থেকে ১ শতাংশের মধ্যে থাকতে পারে। তবে বিশ্লেষকদের কারও কারও শঙ্কা, সরকারবিরোধী বিক্ষোভে হংকং যে পথে এগোচ্ছে তাতে প্রবৃদ্ধির হার আরও খানিকটা কমে যেতে পারে। আর তা শূন্যের নিচে নেমে গেলেই অর্থনীতির ভাষায় তাকে বলা হবে মন্দা। দাইওয়া পুঁজিবাজারের অর্থনীতিবিদ কেভিন লাই বরেন, “বছরের পর বছর ধরে হংকংয়ের উন্নতি হয়েছে। আর এখন তার পতন ঘটছে। ফলে এই পতনটাও বড়ই হবে।”

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর