October 8, 2024, 10:51 pm

সংবাদ শিরোনাম
প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা!

বিনিয়োগ বাড়ানোর মুদ্রানীতি আসছে

বিনিয়োগ বাড়ানোর মুদ্রানীতি আসছে

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

নতুন অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে ৩১ জুলাই বুধবার।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয় মেয়াদের সরকারের দ্বিতীয় এই মুদ্রানীতি ‘সম্প্রসারণমূলক’ হবে বলে আভাস মিলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কথায়।

বিশেষ করে বিনিয়োগে স্থবিরতা কাটাতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হবে নতুন মুদ্রানীতিতে।

গত অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ। যা খুবই হতাশাজনক।

গত কয়েক বছরে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণে এত কম প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়নি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। তার আগের দুই বছরে (২০১৬-১৭ ও ২০১৫-১৬) ছিল যথাক্রমে ১৫ দশমিক ৬৬ এবং ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

অন্যদিকে শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতি (ক্যাপিটাল মেশিনারি) আমদানিতেও দেখা দিয়েছে মন্দা। গত অর্থবছরে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি (ঋণপত্র) খোলার পরিমাণ কমেছে ৩০ শতাংশ; তার আগের বছরে (২০১৭-১৮) যেখানে ২৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।

নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর দিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।

রোববার  তিনি বলেন, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহের গতি-প্রকৃতি বিবেচনা করা মুদ্রানীতির অন্যতম উদ্দেশ্য।

“যেহেতু বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ কম; সেহেতু এ ক্ষেত্রে গতি আনতে নতুন মুদ্রানীতিতে অবশ্যই পদক্ষেপ নেয়া হবে।”

সেইসঙ্গে মূল্যস্ফীতি সহনীয় রেখে ৮ দশমিক ২ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্যও মুদ্রানীতিতে দিক-নির্দেশনা থাকবে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।

ঋণ বিতরণ কম হওয়ায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতিতে তার আগের (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতির চেয়ে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমিয়ে আনা হয়।

গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের লক্ষ্য ধরা ছিল ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। জানুয়ারি-জুন মেয়াদে তা কমিয়ে  ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হয়।

২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে আটকে রাখার প্রত্যাশা করা হয়েছে।

গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএস আট মাসের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) হিসাব ধরে যে তথ্য দিয়েছে তাতে লক্ষ্যের বেশি ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের কথা বলা হয়েছে।

মূল্যস্ফীতি বাজেটে ঘোষিত নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই ছিল। জুন মাস শেষে হড় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ; লক্ষ্য ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশে আটকে রাখার।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩১ জুলাই বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবনের ৫ম তলায় জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি সম্বলিত ‘মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট’  প্রকাশ করা হবে।

এতে সভাপতিত্ব করবেন গভর্নর ফজলে কবির।

বরাবরের মতো এবারও নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার আগে অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, ব্যাংকার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের ঘোষিত আর্থিক নীতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে প্রতি অর্থবছরে দুটি মুদ্রানীতি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর