কুমিল্লার হত্যা মামলায় হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার জামিন
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রোলবোমা হামলা চালিয়ে আটজনকে হত্যার মামলায় হাই কোর্ট থেকে ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার রুলসহ এ আদেশ দেয়। আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এ জে মোহাম্মদ আলী। তাদের সঙ্গে ছিলেন এ কে এম এহসানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আলী আকবর গত ৪ ফেব্রুয়ারি খালেদার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করে দেন। এরপর খালেদার আইনজীবীরা হাই কোর্টে আসেন। আইনজীবী এহসানুর রহমান পরে বলেন, ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। অর্থাৎ কুমিল্লার সবকটি মামলায় এখন তিনি জামিনে। আর জিয়া এতিমখানা, জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার জামিন আবেদন প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া ঢাকার একটি মানহানী মামলায় জামিন শুনানি হয়েছে। এখনও আদেশ হয়নি। ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি জামায়াত-বিএনপির ডাকা অবরোধ চলাকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আইকন পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয়। এতে আগুনে পুড়ে মারা যান আট যাত্রী, আহত হন আরও ২৭ জন। ওই ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। দুই বছর এক মাস তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই মো. ইব্রাহিম। দুই মামলাতেই খালেদা জিয়াকে আসমি করা হয়। জিয়া এতিমখানা ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি। ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে তাকে।