বিএসটিআই জনসন পাউডার দেশে পরীক্ষা করাতে পারেনি
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান রয়েছে কি না, দেশের ল্যাবরেটরিগুলোতে তা পরীক্ষা করতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসটিআই।
যুক্তরাষ্ট্রে ক্যান্সার সৃষ্টির উপাদান পাওয়ার খবরে ভারতের বাজারে পরীক্ষার মুখে পড়েছে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার।
গণমাধ্যমে এই খবর আসার পর বাংলাদেশে বিএসটিআইও পণ্যটি পরীক্ষা করবে বলে জানায়।
গত ২২ জানুয়ারি বিএসটিআইর পরিচালক এস এম ইসহাক আলী বলেছিলেন, ওই পাউডারে ক্ষতিকারক অ্যাসবেস্টস আছে কি না, তা পরীক্ষার জন্য তারা প্রথমে দেশের পরীক্ষাগারে পাঠাবেন। দেশে সম্ভব না হলে সিঙ্গাপুরে পাঠিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা নেবেন।
এর অগ্রগতি জানতে চাইলে বিএসটিআইর সার্টিফিকেশন মার্কস বা সিএম বিভাগের সহকারী পরিচালক রিয়াজুল হক হতাশার কথা জানান।
তিনি বলেন, বিএসটিআইয়ের পরীক্ষাগারে সক্ষমতা না থাকায় তারা বাজার থেকে জনসন অ্যান্ড জনসনের পাউডার সংগ্রহ করে আইসিডিডিআর,বি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (সায়েন্স ল্যাবরেটরি)সহ গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাগারে পাঠিয়েছিলেন।
“আইসিডিডিআর,বি শুরুতেই জানিয়ে দিয়েছিল তাদের এটা পরীক্ষার সক্ষমতা নেই। সর্বশেষ সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে জানানো হয়েছে, ট্যালকম পাউডারে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী অ্যাজবেস্টস উপাদান আছে কি না, তা সেই ল্যাবে পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।”
এই অবস্থায় পরীক্ষা থমকে যাবে কি না- জানতে চাইলে রিয়াজুল বলেন, “এখন পরীক্ষার জন্য কোনো পণ্য সিঙ্গাপুর কিংবা অন্য কোনো দেশে পাঠাতে হলে অনেকগুলো ধাপ অতিক্রম করে যেতে হয়। সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। পাশাপাশি ভারতীয় পরীক্ষাগার থেকে কী ধরনের প্রতিবেদন আসে, সেটাও আমরা দেখতে চাচ্ছি।”
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক এই কোম্পানির শিশুদের তৈরি সাবান, শ্যাম্পু, লোশন ও পাউডারসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়। ভারতে কোম্পানিটির কারখানা থেকে বাংলাদেশে জনসন অ্যান্ড জনসনের পণ্য পরিবেশন করে এমএফ কনজ্যুমার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
পণ্যের মান ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তা পরীক্ষা করা ইতিবাচক বলে মত দিয়েছেন এমএফ কনজ্যুমার্সের একজন মুখপাত্র।
‘নিরাপদ’, দাবি জনসনের
এক প্রশ্নের উত্তরে নিজেদের পণ্যকে অ্যাসবেস্টসমুক্ত এবং এর ব্যবহারে ক্যান্সার হয় না বলে দাবি করেছেন জনসনের ভারতীয় শাখা।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা প্রীতি বিনয়ী এক ইমেইল বার্তায় বলেন, “ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কনট্রোল অর্গানাইজেশন বা সিডিএসসিও তাদের নিয়মিত কাজের অংশ হিসাবে জনসন পাউডার পরীক্ষা করে থাকে। জনসনের পণ্য যে অ্যাসবেস্টসমুক্ত, তা ইতোমধ্যেই সিডিএসসি নিশ্চিত করেছে।”
জনসনের পণ্য ভারত সরকারের পরীক্ষায় সব ধরনের মানদ-ে উন্নীত হয়েছে বলে দাবি করেন প্রীতি বিনয়।