December 26, 2024, 8:32 pm

সংবাদ শিরোনাম
প্রবাসীকে হয়রানির অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রবাসীকে হয়রানির অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যাল্ডিং শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক নির্বাচনে নব নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ ঝিকরগাছা উপজেলায় যুব অধিকার পরিষদের কমিটি ঘোষণা শার্শার উলশী ইউনিয়ন ভিত্তিক ৬ষ্ঠ হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ১১ বছর পর দেশে ফিরলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির আইন সম্পাদক লিয়াকত সাজাভোগের শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলো ২৬ বাংলাদেশি পুরুষ -নারী বেনাপোল থেকে শুভ উদ্বোধন হলো রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের নবজাতককে পাওয়া গেল রাস্তার পাশে ঢাকা সিটির সাংবাদিকদের নিয়প আলোচনা সভা

সাক্ষীর অভাবে হোসেনি দালানে বোমা হামলার বিচার শুরুতে বিলম্ব

সাক্ষীর অভাবে হোসেনি দালানে বোমা হামলার বিচার শুরুতে বিলম্ব

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে বোমা হামলা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের পর পর দুই তারিখে সাক্ষী হাজির হয়নি, যাতে মামলাটিতে অভিযোগ গঠনের তিন মাস পরেও বিচার শুরু হয়নি। ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন এ মামলায় গত মঙ্গলবার এবং এর আগে ১৩ অগাস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের ধার্য তারিখে মামলার বাদী এসআই জালাল উদ্দিন এবং সাক্ষী হোসেনি দালান রোডের মো. মাজেদকে সমন পাঠানো হয় বলে আদালতের কর্মচারীরা দাবি করেছেন। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে গত ৩১ মে অভিযোগ গঠনের পর মামলার নথিপত্র বিচারের জন্য এই আদালতে পাঠানো হয়। এদিনও সাক্ষী না আসায় বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন আগামি ২৮ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন রেখেছেন। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুল্লাহ আবুর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার মামলার তারিখ থাকার বিষয়ে কেউ তাকে জানায়নি। আদালতের পেশকার মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের কোনো ত্রুটি নেই। সাক্ষী কেন আসছে না সেটা পুলিশ প্রসিকিউশনের হাজিরা সেলের লোকজন বলতে পারেবে। এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়েও এর আগে তদন্ত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহলার অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকার মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে হোসেনি দালানে বোমা হামলায় দুজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হন। এ ঘটনায় চকবাজার থানায় মামলা করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ গত বছরের এপ্রিল মাসে অভিযোগপত্র অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠান। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর তা গত বছরের অক্টোবর মাসে বিচারিক আদালতে আসে। মামলায় অভিযুক্ত জেএমবির ১৩ সদস্যের মধ্যে ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযানের সময় তিন জঙ্গি ক্রসফায়ারে মারা যান। গ্রেফতারদের মধ্যে ওমর ফারুক ওরফে মানিক, শাহ জালাল, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ ও চাঁন মিয়া গত বছরের ১৫ মার্চ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে বিভিন্ন সময় জামিন পান। বাকি ছয় আসামি কারাগারে আছে। আসামিদের তিনজন ওই হামলায় দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। জঙ্গি হামলার এই মামলায় সাক্ষী হাজির না হওয়ায় অসন্তোষ জানিয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো বলেন, প্রত্যেকটি হত্যারই দ্রুত বিচার হওয়া উচিৎ। আর জঙ্গি আক্রমণের এসব মামলার বিচার দ্রুত শেষ হওয়া আরও বেশি জরুরি। দুলাল মিত্রসহ আরও কয়েকজন আইনজীবীও একই কথা বলেন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর