মৌলভীবাজারে পানি ও বিদ্যুৎ বিল আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মানছেনা জনতা ব্যাংকসহ প্রাইভেট ব্যাংক
মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার
অনলাইন ব্যাংকিং সেবা দানকারী ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস বিল নেবেন। সেই মতো বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট জরুরি সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকগুলোর ওপর নির্দেশনা জারি করেছিল। কিন্তু ধরা কে সরা জ্ঞানই মনে করছে প্রাইভেট ব্যাংকগুলো। “ডাল মে যে কুছ কালা হ্যায়” সেটাই তার হাবভাবেই বোঝা গেল।
গত ২৯ অক্টোবর দুপর ১টা ২৬ মিঃ সময় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার এর নির্ধিারিত জনতা ব্যাংক লিমিটেড মৌলভীবাজার এরিয়া অফিসে এমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এখনতো ব্যাংকিৎ লেনদেন এর সময়, এবং আজ ২৯ অক্টোবর বিদ্যুৎ বিলের শেষ তারিখ। তাহলে কেন বিল নিচ্ছেননা জানতে চাইলে ঐ ব্যাংক কর্মকর্তা জানালেন ১ঘটিকার পরে আমি বিদ্যুৎ বিলের টাকা নিতে পারবেনা। নিয়ম কি তা বুঝিনা। আমাদের ব্যাংকে এ্টাই নিয়ম চলে আসছে। তাদের নির্ধারিত ব্যাংকে না গিয়ে বিল নিয়ে অন্য ব্যাংকে গেলে বলা হয় আমরা জরুরি সেবার কোনো বিলই নেই না। আপনি পাশের ব্যাংকে যান। আপনাদের ব্যাংকে তো অনলাইন ব্যাংকিং সেবা আছে, তবে কেন কোনো বিল নিচ্ছেন না।
জনতা ব্যাংক লিমিটেড মৌলভীবাজার এরিয়া অফিসসহ জেলার অধিকাংশ প্রাইভেট ব্যাংক গুলো গ্রাহকদের সঠিক সেবা প্রদান করছেননা। এছাড়া ব্যাংকে ৫,১০,২০,৫০ বা ১০০ টাকার ছোট নোট নেয়া হয় না। ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তির শেষ নেই। একাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক গুলোতে সকাল থেকে লেন দেন শুরু করে দুপুর ১টার মধ্যে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু ১টার পর থেকে বিদ্যুৎ বিল ও গ্যাসবিল প্রদানকারী, নগদ জমা সহ নানাবিধ ব্যাংকিং কাজে গ্রাহকরা ব্যাংকে আসলেও তাদের কাজ না করেই ফিরে যেতে হয়।
বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল জমা দিতে আসা গ্রাহকরা ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকলেও তাদের বিল জমা নিতে অনিহা প্রকাশ করে। এতে জনতা ব্যাংকসহ প্রইভেট ব্যাংকে সেবার চেয়ে ভোগান্তি বেড়েছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। জনতা ব্যাংক লিমিটেড মৌলভীবাজার এরিয়া অফিসে এমনই নিয়ম বলে স্বীকার করলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা। দুপুরে এক ঘণ্টা সময় ব্যয় করার নিয়ম থাকলেও ব্যাংক ম্যানেজারসহ কর্মচারিরা তাদের খেয়াল খুশি মতো অফিস করছেন। আবার ৪টা বাজার পূর্বেই ব্যাংকের প্রধান ফটক এ তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। দেখা গেছে যে ব্যাংকগুলো বিদ্যুতের বিল নিচ্ছে, সেই ব্যাংকগুলো পানির বিল নিচ্ছে না।
আবার পানির বিল যে ব্যাংকগুলো নিচ্ছে, তারা বিদ্যুৎ বিল নিচ্ছে না। ব্যাংকের শাখায় ডেস্কের ওপর লিখে রয়েছে এখানে ইউটিলিটি বিল নেয়া হয়। সেই অনুসারে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ডেস্কে এগিয়ে গেলে বিল আদায়কারী অফিসার বলেন, আমরা বিদ্যুৎ বিল নেই না। আপনি তাদের নির্ধারত ব্যাংকে বিদ্যুৎ বিল দিন। এ ব্যপারে একাধিক গ্রাহক বলেন- এক ব্যাংকে সবগুলো বিল নিলে তাদের কষ্ট কম হতো। কিন্তু ব্যাংকগুলো নেয় না। আমাদের বিভিন্ন ব্যাংকে যেতে হয়। তাই মাস শেষে বিভিন্ন ব্যাংকে দৌড়াতে হয়।