জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুণঃপ্রতিষ্ঠাতা- কাউকে খুশি করার জন্য বলিনি: সিইসি
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমানকে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা’ বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনার মুখে পড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা আবারও সেই বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করলেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে টানা তিন মাস ধরে সংলাপের অভিজ্ঞতা জানাতে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, জিয়াই বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুণঃপ্রতিষ্ঠাতা। আমি এটা ওন (ধারণ) করি। কাউকে খুশি করার জন্য বলিনি। তথ্যভিত্তিক কথা বলেছি। নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যায় নূরুল হুদা বলেন, পঁচাত্তরের আগে গণতন্ত্র ছিল। পঁচাত্তর থেকে সাতাত্তর পর্যন্ত গণতন্ত্র ছিল না। জিয়াউর রহমান এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। আওয়ামী লীগসহ বহু দলকে নিয়ে নির্বাচনও করেন। এর মাধ্যমেই বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরে এসেছিল। গত ১৫ অক্টোবর বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসে সিইসি নূরুল হুদা দলটির নেতা সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের গুণগান করেন। তিনি বলেন, ব্যক্তি হিসেবে এবং দলনেতা হিসেবে জিয়াউর রহমান চার বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। তার হাত দিয়েই দেশে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা’ পায়। বিএনপির সঙ্গে সংলাপে ওই বক্তব্যের কারণে ক্ষমতাসীন দলের অনেকের সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সিইসিকে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘স্বৈরশাসক’ জিয়া তার অবৈধ ক্ষমতার বৈধতা পাওয়ার চেষ্টায় ১৯৭৭ সালে ‘প্রহসনের’ গণভোটের আয়োজন করেন। তাতে সাধারণ মানুষ ‘ভোটাধিকার হারায়’ এবং সব গণতান্ত্রিক পরিবেশ ‘নষ্ট হয়ে যায়’। এর ধারাবাহিকতা চলে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর আরেক ‘স্বৈরশাসক’ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতন পর্যন্ত। এর তিন দিন পর কমিশনের সঙ্গে সংলাপে এস আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে সিইসির কাছে ব্যখ্যা চেয়েছিল বলে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে কী ব্যাখ্যা তারা পেয়েছেন, তা খোলাসা করেননি কাদের। আওয়ামী লীগ কী ব্যাখ্যা চেয়েছিল জানতে চাইলে গতকাল বৃহস্পতিবার সিইসি বলেন, তা নয়। আমি যে বক্তব্য (আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে) দিয়েছিলাম, তাতেই এ নিয়ে আমার অবস্থান কী তা হয়ত ওঁরা স্পষ্ট হয়েছেন। বিএনপিসহ সব দল আগামি নির্বাচনে অংশ নেবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করেন সিইসি।