সিপিডির করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা করার সুপারিশ
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা উন্নীত করার সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।বর্তমান আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা।
খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিতে করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি করার তাগিদ দিয়েছে এই গবেষণা সংস্থাটি। এ ছাড়া সর্বনিম্ন করহার ১০ শতাংশ থেকে নামিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে সিপিডি।
রবিবার রাজধানীর মহাখালী ব্র্যাক সেন্টারে বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০১৭-১৮: তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এই সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি বলেছে,তাড়াহুড়ো করে করপোরেট কর হার কমানো ঠিক হবে না।করপোরেট কর কমালে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়বে এটা ঠিক নয়। সার্বিকভাবে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত হলেই বিনিয়োগ বাড়বে।
সিপিডি আরো বলছে, সার্বিকভাবে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থাকবে ৫০ হাজার কোটি টাকা।
রাজস্ব খাত সম্পর্কে সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নির্বাচনের বছরে রাজস্ব খাতে জোরালো সংস্কার হবে না।তবে এবার না হলেও প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
আমদানির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে সিপিডি’র বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্ষ বিলাসবহুল পণ্যসহ শুন্য শুল্কে যেসব পণ্য আমদানি হয় সেসব পণ্য আমদানিকে আগামি বাজেটে সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণ বা তীক্ষè পর্যাবেক্ষণ করার সুপারিশ করেন।
তিনি বলেন,চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে আমদানি তুলনামূলক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।গতবছরের তুলনায় রফতানি,রেমিটেন্স এবং বৈদেশিক সাহায্য প্রবাহ বৃদ্ধি পেলেও বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।এর কারণ আমদানি অনেক বেড়ে গেছে।অনেকে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানির মাধ্যমে টাকা পাচার করছে।