October 7, 2024, 2:32 am

সংবাদ শিরোনাম
স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা! লক্ষ্মীপুরে কুমিরের আতঙ্কে এলাকাবাসী সাংবাদিক পুত্র আবির হোসেন অনন্ত’র জন্মদিন আজ বিল্লাল হুসাইন

আয়করে স্বস্তি থাকলেও ভ্যাটে চাপ বাড়বে

আয়করে স্বস্তি থাকলেও ভ্যাটে চাপ বাড়বে

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

নির্বাচনী বছর হওয়ায় বাজেটে করদাতাদের উপর এবার বাড়তি চাপ আসছে না। বরং কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হতে পারে। এ লক্ষ্যে ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা কিছুটা বাড়তে পারে। কোম্পানির কর্পোরেট করহারের দুই একটি খাতে সামান্য ছাড় আসতে পারে। স্থানীয় শিল্প ও বিনিয়োগবান্ধব কিছু কর্মসূচির কথাও থাকবে। কিন্তু মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) হার কিছু ক্ষেত্রে পুনর্বিন্যাস হতে পারে। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়তে পারে। এ ছাড়া বিদ্যমান ১৯৯১ সালের ভ্যাট আইনের বিধি সংশোধনে বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত নতুন ভ্যাট আইনের কিছু ইস্যু ফের কার্যকর করার ঘোষণাও থাকতে পারে আগামি সাত জুন সংসদে অর্থমন্ত্রীর বাজেট ঘোষণায়।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, নির্বাচনী বছর হওয়ায় আগামি বাজেটে বড় ধরনের কোনো সংস্কার কিংবা করদাতাদের উপর কোনো চাপ দিতে চান না তিনি। এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়াও একাধিক আলোচনায় আগামি বাজেটকে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব করার কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে কর ফাঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি এটি বন্ধের উপায় নিয়েও বলেছেন। কিন্তু আগামি অর্থ বছরে ফের ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থ বছরের শুরুতে তা ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা ধরা হলেও প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) এনবিআরের রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ঘাটতি প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। গত কয়েক বছর ধরেই রাজস্ব আদায়ে বড় লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা আদায় করা যায়নি। গড়ে রাজস্ব আদায় ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ হলেও লক্ষ্যমাত্রা ৩০ শতাংশের উপরেই ধরা হচ্ছে। কিন্তু বছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনা হচ্ছে। চলতি অর্থ বছরেও শেষ দিকে এসে তা সংশোধন করে সোয়া দুই লাখ কোটি টাকা করা হয়েছে। এবার ভ্যাট থেকেই বড় অঙ্কের রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে। এ খাত থেকে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। আয়কর খাত থেকে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা ও শুল্ক থেকে প্রায় ৮৪ হাজার কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে আয়কর ও শুল্ক বিভাগ বাজেটের প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং (আইনগত পরীক্ষা) শেষে মুদ্রণের জন্য বিজি প্রেসে পাঠিয়েছে। আর শেষ দিকে ভ্যাট আইনের বিধি ইস্যুতে কিছু পরিবর্তনের জন্য গতকাল বিকাল নাগাদ ভেটিং সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেনি ভ্যাট বিভাগ।

বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা। এটি বাড়িয়ে পৌনে তিন লাখ টাকা হতে পারে। এ ছাড়া সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ করহারের নিচে আরেকটি হার হতে পারে। অপেক্ষাকৃত কম অঙ্কের করদাতারা এতে সুবিধা পাবেন। ফলে করদাতারা কর প্রদানে উৎসাহিত হবেন। তবে সর্বনিম্ন করের ক্ষেত্রে পরিবর্তন নাও আসতে পারে। কর্পোরেট করের দুই একটি স্তরে সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে। অর্থমন্ত্রী বাজেটের শুরুতে কর্পোরেট করহার কমিয়ে আনার কথা বললেও বিশাল অঙ্কের রাজস্ব হারানোর শঙ্কায় সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তবে আগামি কয়েক বছরে এটি কমিয়ে আনার বিষয়ে একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে পারেন।

 

এবারো ভ্যাট ইস্যুতে বিতর্ক সৃষ্টির শঙ্কা

 

বিদ্যমান ভ্যাট আইনের বিধি সংশোধন ইস্যুতে ফের বিতর্ক সৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে আগামি বাজেটে। এনবিআর, বিদ্যমান আইনের বিধি সংশোধনের আড়ালে ফের বহুল বিতর্কিত নতুন আইনের বেশকিছু ধারা যুক্ত করতে যাচ্ছে বলে বাজেট সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। ইতোমধ্যে এ ধরনের উদ্যোগে ব্যবসায়ীরা তীব্র আপত্তি জানানোর পর ‘ব্যাকফুটে’ এসেছিল এনবিআর। তবে শেষ দিকে এসে ২০১২ সালের নতুন আইনের বেশকিছু ধারা যুক্ত করা হয়েছে, যা বাজেটে ঘোষণা দিতে পারেন অর্থমন্ত্রী। এটি আগামি অর্থ বছর থেকেই কার্যকর হতে পারে। সেক্ষেত্রে নতুন করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তিক্ততা বাড়তে পারে।

বর্তমানে পণ্য আমদানিতে চার শতাংশ অগ্রিম ভ্যাট (এটিভি) পরিশোধ করা হয়। বাজেটে এটি বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে। অন্যদিকে ট্যারিফ ভিত্তিতে পরিশোধ করা কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে তা বাতিল করে ভ্যাটের স্বাভাবিক হারে আনা হতে পারে। বর্তমানে ৮৪টি খাতে প্রায় সোয়া চারশ’ পণ্য ট্যারিফ মূল্যভিত্তিতে ভ্যাট প্রদান করে। সরকার ধীরে ধীরে ট্যারিফ মূল্য থেকে বের হওয়ার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এবারই তা বাস্তবায়ন হবে। অন্যদিকে সংকুচিত ভিত্তিমূল্য হিসেবে পরিশোধ করা বিদ্যমান ভ্যাটের স্তর কমানো হবে। বর্তমানে দেড় শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ৯টি স্তর রয়েছে। এর মধ্যে দেড় থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে ৮টি স্তর রয়েছে। এটি কমিয়ে ৫টি স্তর করা হতে পারে। এসব কারণে কিছু পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে, যা ভোক্তা পর্যায়েও চাপ তৈরি করতে পারে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর