পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক ডেপুটি গভর্নর বিআইডিএস মহা-পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ বলেন, “সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাব, একজনও যেন পিছিয়ে না পড়ে। এ স্লোগান এসডিজি বাস্তবায়নের মূলমন্ত্র।”
এসডিজি দেশের সব অঞ্চলে বাস্তবায়নের উপর সরকার জোর দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
আবুল কালাম বলেন, “এসডিজি`র যে ১৭টি লক্ষ্য রয়েছে সে লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে কার কী দায়িত্ব তা নিয়ে আমরা একটি ম্যাপ করেছি। এ ম্যাপ অনুযায়ী কোন মন্ত্রণালয়ের কোন দায়িত্ব পালন করতে তাও চিহ্নিত করা হয়েছে।”
খলীকুজ্জমান বলেন, “দেশে টেকসই উন্নয়নের জন্য এখন পিকেএসএফ দারিদ্র্য বিমোচনে উপযুক্ত অর্থায়ন কার্য়ক্রম পরিচালনা করছে। আমরা চেষ্টা করছি উপযুক্ত অর্থায়ন করতে।”
তিনি বলেন, “দেশে এখনও আমিত্ব রয়ে গেছে। এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য আমিত্বকে বাদ দিয়ে বহুত্ববাদকে প্রাধান্য দিতে হবে।”
মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, সবক্ষেত্রে বৈষম্য ও অসমতা দূর করার উপর জোর দেন।
“দেশে বৈষম্য বাড়ছে। আর এই বৈষম্যটা বহুমাত্রিক। তবে শহরের চেয়ে গ্রামে এটি বেশি। সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে এ বৈষম্য দূর করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিক্সের শিক্ষক ড. তৌহিদ রেজা নূর টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ঠ ৮-এর উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের একটি অন্যতম চাবিকাঠি হচ্ছে স্থিতিশীল কর্মসংস্থান ও পরিপূর্ণ কর্মপরিবেশ।
বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে বিরাজমান বৈষম্যের নানা দিক তুলে ধরে তৌহিদ রেজা বলেন, বৈষম্যহীন কর্মসংস্থান, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জনের জন্য প্রয়োজন।