October 5, 2024, 5:57 pm

সংবাদ শিরোনাম
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা! লক্ষ্মীপুরে কুমিরের আতঙ্কে এলাকাবাসী সাংবাদিক পুত্র আবির হোসেন অনন্ত’র জন্মদিন আজ বিল্লাল হুসাইন ক্ষমতা! নাকি আড়ালে ছিলো ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনার?

জামায়াতের ঢিলেঢালা হরতাল

জামায়াতের ঢিলেঢালা হরতাল

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক 

বিএনপি সমর্থন দিলেও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালের কোনো প্রভাব রাজধানীর জনজীবনে দেখা যায়নি। হরতালের সমর্থনে রাজপথে জামায়াতের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। ঢাকার বাইরের চিত্রও ছিল একই। ঢাকা থেকে দূর পাল্লার বাস ও লঞ্চ চলাচল ছিল স্বাভাবিক; ঢাকার ভেতরে সড়কে অন্য দিনের মতোই ছিল যানজট। দোকানপাটও ছিল খোলা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, কোথাও হরতালের আঁচ পড়েনি। জনগণ হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে। দলের আমির মকবুল আহমাদ, নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমানসহ আট নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছিল জামায়াত। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এক ‘জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জোটসঙ্গী দলের এই কর্মসূচিতে তার দলের সমর্থনের কথা জানান।

রমনা বিভাগের পুলিশের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ভোর থেকে রাজপথে অবস্থান নিলেও হরতালের কোনো মিছিল দেখতে পাননি তিনি। কোনো গলি দিয়েও মিছিল বের করার খবর পাওয়া যায়নি। সব কিছুই স্বাভাবিক। রাস্তায় অনেক গাড়ি। দোকানগুলোও খোলা হয়েছে যথা সময়ে। মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আনোয়ার হোসেন, গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মোস্তাক আহমেদ, লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার ইব্রাহিম খানও বলেন, তাদের এলাকায় হরতালকারীদের কোনো তৎপরতা ছিল না। মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আহমেদ বলেন, সকাল ৯টা পর্যন্ত সড়কে গাড়ি একটু কম ছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য দিনের মতো গাড়ি দেখা যায়। বিএনপি সমর্থন দেওয়ার পরও তার কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার শাহেন শাহ ও যাত্রাবাড়ী জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ইফতেখারুল আলম বলেন, তাদের এলাকায় হরতালের সমর্থনে কোনো মিছিল বের হয়নি। এদিকে হরতালের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করেছে বাস ও লঞ্চ। বেলা ১২টার দিকে ঢাকার গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে দূরপাল্লার গাড়িগুলোকে ছেড়ে যেতে দেখা যায়। ইউনিক পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক আবদুল হক বলেন, হরতালে তাদেরসহ অন্যান্য কোম্পানির গাড়িগুলো সময়মতোই ছেড়ে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশে আটটি এবং চট্টগ্রামের পথে আটটি বাস ছেড়ে যায় ইউনিক পরিবহনের। পথে কোনো সমস্যা হয়নি বলে জানান হক। তবে তিনি বলেন, যাত্রী সংখ্যা অন্য দিনের তুলনায় কম ছিল বলে জানান তিনি। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর পরিবহন পরিদর্শক নিয়াজ মোহাম্মদ খান বলেন, হরতাল যে আছে তা অনেক যাত্রীই জানেনই না। দুপুর পর্যন্ত নয়টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বিকালে নির্ধারিত লঞ্চগুলোও ছাড়বে বলে জানান তিনি। এদিকে হরতালে পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর সব বিপণি বিতান ও দোকানগুলো খোলা ছিল।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর