রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলায় আলোচনার প্রস্তাব মাদুরোর, গুইদোর ‘না’
ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চলমান রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলায় ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদোর সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েও সাড়া পাননি দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।
শুক্রবার ইউনাইটেড সোশালিস্ট পার্টির প্রধান মাদুরো জানান, তিনি তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে ‘কথা বলতে প্রস্তুত’।
তাৎক্ষণিকভাবে গুইদো এ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন। বলেন, তিনি ‘নকল সংলাপে’ অংশ নেবেন না।
বুধবার এ বিরোধীদলীয় নেতা নিজেকে ‘ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট’ ঘোষণা করার পরপরই দেশটিতে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রা পায়, জানিয়েছে বিবিসি।
গুইদো নিজেকে ভেনেজুয়েলার শীর্ষকর্তা ঘোষণা দেওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার অনেক দেশ তাতে সমর্থন জানায়।
এর প্রতিক্রিয়ায় মাদুরো তাৎক্ষণিকভাবে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কারাকাসের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
মার্কিন কূটনীতিকদের ভেনেজুয়েলা ছাড়তে ৭২ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দেন তিনি। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রে তার দেশের দূতাবাস ও সকল কনসুলেট বন্ধের নির্দেশ দেন।
ওয়াশিংটনের মদদে গুইদো ‘অভ্যুত্থান ঘটানোর’ চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেন সোশালিস্ট ঘরানার এ নেতা।
নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণার পর গুইদো ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনীকে মাদুরোর পাশ থেকে সরে আসার আহ্বান জানালেও দেশটির সেনাপ্রধান বলেছেন, তার বাহিনী সরকারের সঙ্গেই আছে, থাকবে।
বিরোধীরা চলতি সপ্তাহে কারাকাসসহ বিভিন্ন শহরে মাদুরোবিরোধী বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে বলেও জানিয়েছে বিবিসি।
পশ্চিমারা গুইদোর পক্ষে থাকলেও মাদুরো রাশিয়া, চীনের মতো বিশ্বশক্তির সক্রিয় সমর্থন পেয়েছেন।
মস্কো গুইদোকে দেওয়া বিভিন্ন দেশের সমর্থনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একে আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন ও ‘রক্তপাতের পথে যাত্রা’ হিসেবেও অভিহিত করেছে তারা।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এরইমধ্যে রুশ সামরিক ঠিকাদাররা গোপনে ভেনেজুয়েলা পৌঁছেছেন বলে বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইরান, মেক্সিকো, তুরস্ক, কিউবা, বলিভিয়া ও নিকারাগুয়ার মতো আঞ্চলিক প্রভাবশালী দেশও মাদুরো প্রশাসনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও সাবেক মার্কিন কূটনীতিক এলিয়ট আব্রামকে ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নতুন দূত হিসেবে নিয়োগ করেছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো।
এলিয়ট গত শতকের ৮০-র দশকে রোনাল্ড রিগান প্রশাসনে আন্তঃআমেরিকান বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ছিলেন।