ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
খুলনায় স্কুলছাত্রী চাঁদনী আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার আসামি শামীম হাসান শুভর পাঁচ দিন ও তার বাবা শাহআলমের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল রোববার বিকেলে তাদেরকে মহানগর হাকিম সুমি আহমেদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লবণচরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, রিমান্ড মঞ্জুরের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে লবণচরা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মামলার ৫ আসামির মধ্যে একজন এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বখাটে শামীম হাসান শুভ ও তার সহযোগীদের ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে মেধাবী ছাত্রী শামসুন নাহার চাঁদনী ১৩ অক্টোবর রাতে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সে খুলনা সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। সে নগরীর লবনচরা থানার হরিণটানা গ্রামের হরিণটানা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রবিউল ইসলামের মেয়ে।
চাঁদনীর আত্মহননের প্ররোচনার অভিযোগে ১৪ অক্টোবর তার বাবা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে লবণচরা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বখাটে শামীম হাওলাদার শুভ, তার পিতা শাহ আলম হাওলাদার, মা জাকিয়া বেগম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী মাফিয়া কবির ও বন্ধু হাসিবসহ অজ্ঞাত আরো তিন-চারজনকে আসামি করা হয়। ওই দিনই পুলিশ শুভর সহযোগী মাফিয়া কবিরকে গ্রেফতার করে।
২৮ অক্টোবর রাতে শুভ, তার বাবা শাহআলম ও মা জাকিয়া আলমকে ডুমুরিয়ার উপজেলার নোয়াকাটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল রোববার জাকিয়া আলমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অপর আসামি শুভর বন্ধু হাসিব এখনও পলাতক রয়েছে।