রোহিঙ্গাদের কাছে অবৈধভাবে ২ লাখ সিম বিক্রির অভিযোগ
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের কাছে অবৈধভাবে দুই লাখ সিম বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কেবল তাই নয়, মোবইল ফোন অপারেটরগুলো এই রোহিঙ্গাদের কাছে ১০ লাখ সিম বিক্রি করার টার্গেট নিয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। বাংলাদেশ ‘মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি সংগঠন মোবাইল ফোন আপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করে। গতকাল সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘রোহিঙ্গাদের বিনামূল্যে টেলিকম সেবা প্রদান ও অবৈধ সিম বিক্রির অপরাধে অপারেটরদের শাস্তির দাবি’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে সংগঠনটি এ অভিযোগ করে। মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যমে রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে মাবাইল ফোন ব্যবহারের চিত্রটি ফুটে উঠে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরগুলোতে মোবাইল ফোন আপারেটরগুলো স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যেমে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ সিমকার্ড অবৈধভাবে বিক্রি করেছে। তাদের লক্ষ্য এখন আশ্রিত ১০ লাখ গ্রাহক। একটি সিমকার্ড এখন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের কাছে। আশঙ্কা প্রকাশ করে সংগঠনের নেতারা বলেন, মিয়ানমারের সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কৌশলে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে সিম সংগ্রহ করে ব্যবহার করছে কিনা সেই বিষয়টিও ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণায়ের কাছে প্রশ্ন রেখে বক্তারা বলেন, স্বল্পমূল্যে টেলিটকের বুথ থেকে রোহিঙ্গারা কথা বলতে পারবে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে অবৈধ সিমকার্ড বিক্রির অপরাধে প্রতি সিমের বিপরীতে ৫০ ডলার জরিমানার বিধানের কী হবে? তাই আইন অনুযায়ী অবৈধ অপারেটরদের বিরুদ্ধে জরিমানা বাবদ ৮০০ কোটি টাকা এবং অবৈধ সিমের কলের মূল্য ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘেœর আপারেটরদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাছ থেকে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা সরকার আদায় করতে পারবে বলেও সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদসহ সংগঠনের সদস্যরা।