এখনও বিপদমুক্ত হয়নি কুয়াকাটার ‘ডেনজার নেট পয়েন্ট’
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
পটুয়াখালীর পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকতে হাজার হাজার পর্যটকদের ভীড় প্রতিদিনই বাড়ছে। কিন্তু সেই সৈকতের ‘ডেনজার নেট পয়েন্ট’ এখনও বিপদমুক্ত হয়নি। বিস্তীর্ন সৈকতের ওয়াকিং ট্যুরিষ্ট পয়েন্টে এখনও বাঁধা হচ্ছে জালের দড়ি ও নৌকা। অথচ এ জালের দড়ি গলায় বেঁধে মোটরসাইকেলে থাকা পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র শাকিলের শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় গত বছর। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। এ শীত মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে কুয়াকাটা সৈকতের জিড়ো পয়েন্ট থেকে পূর্বে গঙ্গামতি ও পশ্চিমে লেম্বুরবন পর্যন্ত সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দেশ বিদেশের পর্যটকদের পদচারনায় মুখর থাকে। কিন্তু এই সৈকত এখন ক্রমশ ডেনজার জোনে পরিনত হয়েছে। বিস্তীর্ন এই সৈকতে মাছ শিকারের জন্য শতশত মাছ ধরা জালের দড়ি সৈকতে পুতে রাখা এবং শতশত মাছ ধরা ডিঙি নৌকা সৈকতে খুঁটা পুঁতে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হচ্ছে। এ কারণে ওই পুতে রাখা খুঁটা ও দড়িতে আটকে ঘটছে দূর্ঘটনা। গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি বিকালে মোটরসাইকেলে করে লেম্বুরবনে ঘুরতে যাওয়ার সময় চলন্ত মোটরসাইকেল জালের দড়ির সাথে আটকে যায়। এ সময় মোটরসাইকেলের সামনে বসা স্কুল ছাত্র শাকিলের শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এরপর কয়েকদিন সৈকতে জালের দড়ি ও নৌকা বাঁধার খুঁটা পুঁতে রাখা বন্ধে প্রশাসন অভিযান চালালেও আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেছে। খুলনা থেকে কুয়াকাটায় শিক্ষা সফরে আসা স্কুল ছাত্র, আদিয়ান, সাকিব, মিজান জানায়, জোয়ারের সময় গোসল করতে নেমে জালের দড়িতে তাদের পা আটকে গেছে। কিন্তু সহপাঠীরা সঙ্গে থাকায় তারা বড় ধরনের বিপদ থেকে বেঁচে গেছেন। টাঙ্গাইল থেকে কুয়াকাটায় ভ্রমনে আসা জাহাঙ্গীর আলম ও সাদিয়া আলম দম্পতি জানায়, তাঁরা রাতে পায়ে হেঁটে ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন সৈকতে। কিন্তু লেম্বুরবনের কাছাকাছি যাওয়ার সময় সৈকতে উঠিয়ে রাখা ডিঙি নৌকার খুটার দড়িতে পা আটকে পড়ে আহত হয়েছেন। একই কথা বললের বহু পর্যটক। কুয়াকাটা সৈকতে দায়িত্বরত নৌ-পুলিশ ও ট্যুরিষ্ট পুলিশরা জানান, স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় নৌকার মালিক জাকির ও মোটরসাইকেল চালক নুর আলমকে আসামি করে এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। তাঁরা গঙ্গামতি থেকে লেম্বুরবন পর্যন্ত জালের দড়ি ও খুটা পুতে রাখা বন্ধে অভিযান চালাচ্ছেন।