April 29, 2024, 10:26 pm

সংবাদ শিরোনাম
সারাদেশের মতো রংপুরের বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ভোক্তার ডিজি আবাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হাফেজ ও এতিমদের মাঝে পোশাক ও সেলামী প্রদান কক্সবাজার টিসিবির পণ্য মজুদ ও বিক্রির অপরাধে এক লাখ টাকা জরিমানা দুস্থদের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ এবার কলাপাড়ায় দেখা মিললো বিলুপ্তপ্রায় উড়ন্ত লাউডগা সাপের কুড়িগ্রামের উলিপুরে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিলেন প্রভাবশালী কুড়িগ্রামে বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি- ২০২২ প্রদান নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ে পণ্যের দাম কমছে :রংপুরে ভোক্তা ডিজি ব্রহ্মপুত্র নদে আড়াই মাস ধরে চিলমারী-রৌমারী ফেরি চলাচল বন্ধ বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

পীরগঞ্জে বালুর পয়েন্টে এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু : ৩ মাস পর লাশ উত্তোলন

পীরগঞ্জে বালুর পয়েন্টে এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু : ৩ মাস পর লাশ উত্তোলন

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি

রংপুরের পীরগঞ্জে চতরা ইউনিয়নের নিভৃত পল্ল¬ী চকভেকা গ্রামের প্রভাবশালী রেজাউল করিম র্দীঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে করতোয়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের পয়েন্টে এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোর্টে মামলা হলে শিশুটির মৃত্যুর ৩ মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতীশ দর্শী চাকমা ও পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মাসুমুর রহমান মাসুম সহ একদল পুলিশ ওই দিন বিকেলে চকভেকা গ্রাম থেকে রুবেল মিয়ার পুত্র সাজ্জাদ হোসেন সাইম (৩) এর লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। পুলিশ ও মামলার এজাহারে বর্ণিত গত ১ মে মঙ্গলবার করতোয়া নদী থেকে আ: কাদের মিয়ার পুত্র রেজাউল করিম দীর্ঘ দিন ধরে বালু উত্তোলন করে আসছেন। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজে এলাকাবাসী বাঁধা দিলে রেজাউল করিম বীরদরপে বালু উত্তোলনের কাজ অব্যাহত রেখেছিলেন। বালু উত্তোলনের কারণে এলাকার রাস্তা-ঘাট বাড়ি-ঘর এবং চকভেকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ায়, এলাকাবাসী বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। এদিকে জীবন-জীবিকার তাগিদে দিনমজুর রুবেল ঢাকা শহরে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। রুবেলের পরিবার বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে রেজাউলের মা জোসনা বেগম, রুবেলের পুত্র সন্তান সাজ্জাদ হোসেন সাইম (৩) পাশের বাড়ীতে খেলাধূলা করছিল। এক পর্যায়ে সুকৌশলে রেজাউল করিমের মা জোসনা বেগম শিশুটিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে সাজ্জাদ হোসেন সাইম বাড়ীতে না আসায় তার মা, শাহানারা বেগম পুত্রকে খুঁজতে থাকে। এদিকে খোজাখুজির এক পর্যায়ে জোসনা বেগমকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে তোমার ছেলে রেজাউলের বালুর পয়েন্টে গোসল করে বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়েছি। অপর দিকে এলাকা বাসী ও রুবেলের মা জাহানারা বেগম ও তার স্ত্রী বালুর পয়েন্টের গর্তে শিশুটিকে খুঁজতে থাকে। আসামী রেজাউল করিম নিজেই রুবেলের পুত্রকে বালুর পয়েন্ট গর্ত থেকে মৃত. অবস্থায় তুলে নিয়ে আসে। রুবেলের পরিবার আরও জানান ওই দিন রাতে ১২ টার সময় শিশুটির লাশ দাফন করার জন্য রুবেলের পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে রাত ১টার সময় রেজাউল করিম ও তার লোকজন শিশুটির লাশ দাফন কাজ সম্পন্ন করেন। অপরদিকে ২৫ জুন রুবেলের মিয়া বাদী হয়ে রংপুর কোর্টে রেজাউল করিম সহ চারকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর