নিজস্ব প্রতিনিধি
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মাদরাসার আয়ার কাছে পানি চাওয়ায় স্বামী-স্ত্রী মিলে শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।গত মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাটাবুগা দাখিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আয়া আঞ্জুমনোয়ারা এবং তার স্বামী একই মাদরাসার সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা রমজান আলীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মাদরাসার সুপারসহ শিক্ষক-কর্মচারীরা।
অভিযোগ সূত্র জানায়, পাটাবুগা দাখিল মাদরাসার শরীরচর্চা শিক্ষক এ কে এম আমিনুল হক আয়া আঞ্জুমনোয়ারার নিকট পানি চান। এসময় আয়ার স্বামী একই মাদরাসার সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক রমজান আলী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং বলেন যে, আমার বউকে কোনো কাজের কথা বলতে যাবে না। শিক্ষক আমিনুল হক কারণ জিজ্ঞাসা করলে রমজান আলী তার ওপর অতর্কিত হামলা করে বসে এবং তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি শুরু করে। এসময় মাদরাসার নিরাপত্তাকর্মী রুহুল আমিন এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। অন্যান্য লোকজন ছাড়াতে গেলে স্বামী-স্ত্রী মিলে হুমকি দেন যে, বিষয়টি নিয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করলে ইভটিজিং মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে।
শিক্ষক এ কে এম আমিনুল হক জানান, আয়া আঞ্জুৃমনোয়ারা নিয়োগের শুরু থেকেই দায়িত্বে অবহেলা করে আসছেন। তাকে কোনো কাজের কথা বললে ক্ষিপ্ত হন এবং তার স্বামী রমজান আলীর দাপটে সবার সাথে অসদাচরণ করেন। রমজান আলী নিজেও অধিকাংশ সময়ই মাদরাসায় অনুপস্থিত ও দায়িত্বে অবহেলা করে থাকেন।
এব্যাপারে মাদরাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট আইয়ুব আলী বলেন, আয়া আঞ্জুৃমনোয়ারা ও তার স্বামী রমজান আলীকে অফিসিয়ালভাবে বারবার সতর্ক করা হলেও কোনো পরিবর্তন হননি, বরং বিভিন্নসময় দলীয় প্রভাবে হুমকিধামকি এবং বহিরাগত লোকজন নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের নানাভাবে লাঞ্ছিত করেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, আমার মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।