রেজাউল করিম মজুমদার,জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
গাজীপুরের উত্তরে অবস্থিত রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট। সেনাবাহিনী সেনানিবাস রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তায় বেশ কিছুদিন যাবত যাত্রী ও ড্রাইভারদের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য অভিযোগগুলো হচ্ছে, রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তায় নিয়মিত রাত হলেই সন্ধ্যার পর থেকেই ফজরের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত শুরু হয় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির মতো বড় বড় ঘটনা।
যাত্রীদের অভিযোগ রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তার হাইওয়েতে একটি ফুটওভার ব্রিজ আছে রাত হলেই ওইখানে কিছু ছিনতাইকারী ছেলেপেলে ওই জায়গায় অবস্থান নেয় এবং রাস্তার দুই পাশেও তারা হেটে বেড়ায়। ওই ফুটওভারের উপর থেকে যাত্রীদের টার্গেট করে সবাই একত্রিত হয়ে যাত্রীদের সাথে থাকা গুরুত্বপূর্ণ মালামালের ব্যাগ, মোবাইল, মানিব্যাগ, স্বর্ণের চেইন, কানের দুল সহ হাতিয়ে নেয় সম্পূর্ণ টাকা পয়সা।
যাত্রীরা আরো জানান, একা হাঁটা তো দূরের কথা একসাথে দুই তিন জন লোক থাকলেও তারপরেও তাদের সম্মুখীন হতে হয়। ছিনতাইকারীদের হাতে থাকা বড় বড় চাপাটি, সুইচগেট, রড, বেলেট, লাঠিসুটা ও ধারালো ছুরি নিয়ে আসে। এ অবস্থায় সাথে মহিলা থাকলে আরও বড় ধরনের বিভ্রান্তের ভিতরে পড়তে হয়। শুধু তাই না একটু রাত হলেই শুরু হয় ছোট বড় সব ধরনের গাড়িতে ইট পাটকেল মারা।
ড্রাইভার ও যাত্রীরা দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রেজাউল করিম মজুমদারকে জানায়, গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো বড় বড় ঘটনা এগুলো নতুন কিছু না, পূর্ব থেকে হয়ে আসতেছে, তবে রাস্তায় পুলিশ প্রশাসন থাকা অবস্থায় মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে ছিলো। গত (৫ আগস্ট) সরকার পতনের সাথে সাথে রাস্তায় থাকা পুলিশ প্রশাসনও পালিয়ে যায়। এতে করে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি এগুলো দিন দিন বেড়েই চলছে।
কোনোভাবেই ইট পাটকেল ও লাঠি সোটা মেরে যদি একবার গাড়ি দ্বারা করাতে পারে, সুবিধা বুযে ড্রাইভারের গলায় ছুরি বসিয়ে গাড়িতে থাকা লোক ও গাড়ি সহকারে রাজেন্দ্রপুরে অবস্থিত রাস্তার দুই পাশে গহীন জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাদেরকে মারধর করে গাড়ি রেখে দেয় এবং তাদের কাছে থাকা টাকা পয়সা, মানিব্যাগ, মোবাইল সহ অন্যান্য মালামাল সবকিছু রেখে দিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এলাকার স্থায়ী সংশ্লিষ্টরা জানান, রাতে ঘটে যাওয়া চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির কথা যখন আমরা দিনের বেলায় শুনতে পাই, তখন আমাদের করণীয় কিছু থাকে না। তবে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো শোনার পর নিজেদের কাছে অনেক কষ্ট লাগে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী রাতের বেলায় ছিনতাইকারীদের টার্গেট করে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে ধরে আইনগত ব্যবস্থা নিলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হবে বলে আশা করছেন।