মানিক রংপুর প্রতিনিধিঃ
তালিকাভুক্ত ডিলারদের বীজ বিতরনে অনিয়ম ও দূর্নীতির অংগরাজ্য এখন দিনাজপুর বিএডিসি(বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ডেভেল্পম্যান্ট কর্পোরেশনে ) একাধিক ডিলারের বরাদ্দকৃত বীজ এক দুজনকে
দিয়েই বীজ বিতরন কার্যক্রম সম্পন্ন করে এবং হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা যা একাধিক ডিলার গমের বীজ নিতে এসে অভিযোগ করেন। আর একাধিক ডিলারের বরাদ্দকৃত বীজ গ্রহনের মুল হোতা বীরগঞ্জ এর বীজ ডিলার মোঃ সোহাগ,বড়বন্দর এর মা ট্রেডার্স এর সুনীল সহ নাম না বলা শর্তে রাঘব বোয়াল।যাদের কারী কারী টাকা আর ক্ষমতা রয়েছে আর এই টাকার দাপটেই বিএডিসির বীজ বিপননে যেই উপপরিচালক যোগদান করেন সেই উপপরিচালককেই মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে দিনের পর দিন চালিয়ে আসছে এই দূনীর্তি।আর এর চক্রের প্রধান সহায়তাকারী বিএডিসি বীজ বিপনন এর হিসাবরক্ষক বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত স্টোর কিপার মোঃ সোহেল রানা। প্রকৃত ডিলাররা বঞ্চিত হচ্ছে তাদের বরাদ্দকৃত ন্যায্য বীজ পাওনা থেকে।
তালিকাভুক্ত একাধীক বীজের ডিলার অভিযোগ করে বলেন বীজ বিতরন শুরু হলেই যেন এই অফিসের ঈদ লেগে যায়।আর এক দুজনকেই একাধিক ডিলারের বরাদ্দকৃত বীজ বিতরন করে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা।
গতকাল ১১ডিসেম্বর রবিবার দিনাজপুর সদরের সুইহারী বিএডিসি কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ২০২২-২৩মৌসুমে উপজেলা ভিত্তিক আপদকালীন বীজ সংরক্ষন কার্যক্রমের আওতায় ৩জাতের গমের বীজ বিতরন করার নির্ধারিত তারিখে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত অনেক ডিলারই গমের বীজ না পেয়েই চলে যায়।এসময় হাকিমপুরের বীজের ডিলার মিজান,ফুলবাড়ীর ডিলার,নবাবগঞ্জ,ঘাড়াঘাটের রানিগঞ্জ থেকে আগত ডিলাররা আক্ষেপ করে বলেন বীজ বিতরনের সময় তাদেরকে কোন প্রকার জানানো হয়না।নিজের লোক এই অফিসে চাকুরী করে বলে দু একজন একে অন্যের মাধ্যমে জানতে পারি বলে বীজ নিতে চলে আসি।কিন্তু অফিসিয়ালি আমাদের কিছুই জানানো হয়না।অথচ ডিলারদের বরাদ্দকৃত বীজ বীরগঞ্জের ডিলার সোহাগ নামের এক ডিলার যিনি ১৮২জন ডিলারের বীজ একাই সংগ্রহ করে।তার যুক্তি যারা বীজ গ্রহন করতে অনিচ্ছুক তাদের কার্ড দিয়েই এই বীজ সংগ্রহ করা হয়।অথচ যেটা নিয়ম ও নীতির বর্হিভৃত।কেউ উপস্থিত থেকেও বীজ পায় না অপরদিকে যারা নিতে চায় না তাদের বরাদ্বদকৃত বীজ একজনকেই দেয়া হয়। এতে উপপরিচালক ও হিসাবরক্ষকের পেট মোটা হয় প্রকৃত বীজ ডিলাররা বঞ্চিত হয়।দীর্ঘদিন ধরে দিনাজপুর বিএডিসি কার্যালয়ের বীজ বিপননে চলে আসছে এই অরাজকতা।অথচ দেখার বা বলার কেউ নেই।কোন কোন ডিলার এর প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের ডিলারশীপ বাতিল করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।এ প্রসঙ্গে বিএডিসি দিনাজপুর কার্যালয়ের বীজ বিপননের উপপরিচালক মোঃ আব্দুর রশিদের সাথে কথা বললে তিনি এর কোন সঠিক উওর না দিয়ে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে এবং বক্তব্য দেয়া থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখার চেষ্টা করে।একধিক ডিলার এও অভিযোগ করে বলেন ইতিপূর্বে ধানের বীজে সরকারের পক্ষ থেকে ভতূকির কথা বলা হলেও আমরা বিএডিসি দিনাজপুর কার্যালয়ের বীজ বিপননের উপপরিচালক ভর্তুকির কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন এখনো ভর্তূকির ব্যাপারে এখনো কোন নির্দেশনা আসে নি।তবে সঠিক কি নির্দেশনা সেটা তিনি কখনোই খোলাসা করে কিছুই বলেন না।বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষি উপকরনের পিছনে যে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের মান উন্নয়নে সর্বাধিক চেষ্টা চালিয়ে আসছে।অথচ কিছু অসৎ কর্মকর্তার অসাধুতার কারনে প্রন্তিক পর্যায়ের প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছে তাদের প্রাপ্তি থেকে।একাধিক ডিলারের বীজ যদি একজন বা দুজনকেই দেয়া হয় তাহলে সব অঞ্চলের তৃনমূল পর্যায়ের কৃষকরা কিভাবে বীজ পাবে।তাই ভুক্তভোগী ডিলাররা দিনাজপুর বিএডিসি কার্যালয়ের দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে উর্ধতনকতৃপক্ষ ও স্থানীয় সরকার প্রধানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।