October 10, 2024, 2:28 am

সংবাদ শিরোনাম
আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন ও জনগণের প্রীতি আহ্বান – পর্ব ৮ প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন

আজ মহাস্থানে চলছে নবান্ন উৎসব উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী বড় মাছের মেলা

গোলজার রহমান, জেলা প্রতিনিধিঃ
নবান্ন উৎসব উপলক্ষে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক মহাস্থান বাজারে বসেছে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মাছের  মেলা। মেলায় ছোট-বড় সব ধরনের মাছ পাওয়া যাচ্ছে।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার মহাস্থান বাজারে দুর-দুরান্তের মানুষ আসেন মাছ কিনতে। মেলা উপলেক্ষে এ এলাকার প্রতিটি বাড়িতে বড় বড় মাছ ও নতুন সবজি কিনে স্বজনদের আপ্যায়নের আয়োজন চলছে।
জানা যায়, পঞ্জিকা অনুসারে অগ্রহায়ণের প্রথমেই শিবগঞ্জের মহাস্থান বাজারে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন নবান্ন উৎসব পালন করা হলেও এ উৎসবকে কেন্দ্র করেই প্রতিবছর মাছের মেলা বসে।
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ মেলায় এক হাজার মণেরও বেশি মাছ কেনাবেচা হয়েছে। এক কেজি থেকে শুরু করে ২০ কেজি ওজনের বাঘার মাছ, ১৬ কেজি ওজনের ব্ল্যাক কার্প, ১৫ কেজি ওজনের কাতল, রুই, ব্রিগেড, বাগার, সিলভার কার্পসহ হরেক রকমের মাছ বিক্রি হয় এ মেলায়। তবে গত বছরের তুলনায় এবার মাছের দাম অনেকটায়  কম বলে জানিয়েছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। মেলায় বিশালাকৃতির রুই-কাতলা ও মাছগুলো ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও মাঝারি আকারের মাছ ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ২৪০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা দরে ব্ল্যাক কার্প, ব্রিগেড ও সিলভার কার্প মাছ বেচাকেনা হয়।
মেলায় মাছের পাশাপাশি নতুন শাক-সবজির পসরাও সাজানো হয়। মেলায় নতুন আলু বিক্রি হয়েছে ২০০থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া মিষ্টি আলু ও কেশর (ফল) প্রতিকেজি ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
মেলায় আসা মাছ ব্যবসায়ী মস্তাফিজার রহমান,  রশিদ মিয়া , জহুরুল ইসলাম, সাংবাদি দের কে জানান, মেলায় ছোট-বড় মিলে শতাধিক মাছের দোকান বসেছে। প্রত্যেক বিক্রেতা ৫ থেকে ১০ মণ করে মাছ বিক্রি করেছেন। মেলায় মাছ সরবরাহের জন্য সেখানে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাত থেকে ২০টি আড়ৎ খোলা হয়। সেসব আড়ৎ থেকে স্থানীয় বিক্রেতারা পাইকারি দরে মাছ কিনে মেলায় খুচরা বিক্রি করেন।
তারা বলেন, মহাস্থান  নবান্ন মেলায় বিক্রির জন্য আশপাশের এলাকার পুকুরগুলোতে সৌখিন চাষিরা মাছ মজুদ করে রাখেন। এলাকার কে কত বড় মাছ মেলায় তুলতে পারে যেন তারই প্রতিযোগিতা চলে চাষিদের মধ্যে। এছাড়া আড়ৎদাররা তো আছেই।
তারা আরও বলেন, এলাকার লোকজনও প্রায় প্রতিযোগিতা করে তুলনামূলক বড় মাছ কিনে বাড়িতে নিয়ে যায়। মূলত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নবান্ন উৎসব করলেও আশপাশের গ্রামের সব সম্প্রদায়ের মানুষই কেনাকাটা করে।
মহাস্থান বাজারের ইজারাদার ইব্রাহিম হোসেন,মাছ ব্যবসায়ী   মোস্তা
সাংবাদিক দের কে বলেন, মেলাটি আগে ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও সম্প্রতি তা ব্যাপকতা লাভ করেছে। শুধু আশপাশেরই নয় পুরো শিবগঞ্জ উপজেলার মানুষ এখানে নবান্নের বাজার করতে আসেন। মাছের মেলার খবর পেয়ে শহর থেকেও অনেকে আসেন মাছ কিনতে।
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর