October 9, 2024, 6:28 pm

সংবাদ শিরোনাম
আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন ও জনগণের প্রীতি আহ্বান – পর্ব ৮ প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন

বগুড়ার হাড্ডিপট্টিতে এক ফাইমার বিপরীতে যেন হাজারো ফাইমার জন্ম

স্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম)
বগুড়া শহরের হাড্ডিপট্টি এলাকায় অবাধে চলছে বিভিন্ন ধরনের মাদকের রমরমা ব্যবসা। এতে করে নষ্ট হচ্ছে এলাকার ভাবমূর্তি। এলাকায় সাবেক মাদক সম্রাজ্ঞী ফাইমা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা থেকে বিরত থাকলেও যেন ফাইমার গলিতে জন্ম হয়েছে হাজারো ফাইমার এমনই অভিযোগ তুলেছেন সচেতন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাড্ডিপট্টি এলাকার সাবেক মাদক সম্রাজ্ঞী ফাইমা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকের ব্যবসা থেকে বিরত থাকলেও ফাইমার গলিতে যেন জন্ম হয়েছে একাধিক ফাইমার। তারা প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে নানান ধরনের নতুন নতুন কলাকৌশল অবলম্বন করে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে লোপেন্টা, ট্যাপেন্টা, ট্যাপেন্টাডল, গাঁজা ও মরণনেশা ইয়াবার রমরমা ব্যবসা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একধিক ব্যক্তি জানান, মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকার ছোট ছোট পথ শিশুদের ব্যবহার করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে। কিছু কিছু মাদকসেবী মাদক সংগ্রহ করে এলাকায় বটতলা নামক স্থানে ও শামীমের পুকুরের দোকান ঘরে পিছনে বসে দিনে ও রাতে অবাধে মাদক সেবন করে যাচ্ছে। এতে এলাকার স্থানীয় লোকজন ও মহিলা থেকে শুরু করে সবার চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এ যেন অসহায় এলাকাবাসীর সমস্যা দেখার কেউ নেই। পুরো রাজত্বটাই যেন মাদক কারবারিদের দখলে।
মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় এলাকার বিভিন্ন নেতাদের নাম ভাঙিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করলেও অনুসন্ধান করলে তারা কেউই এ বিষয়ে অবগত নন এবং অতীতে তারা মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করতে বারণ করায় তাদের সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য ব্যবসায়ীরা তাদের নাম ব্যবহার করছে বলে মনে করছেন তারা।
৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: আব্দুল মতিন সরকার এ বিষয়ে বলেন, আমার ৪নং ওয়ার্ডে মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স জারি করেছি। বর্তমানে ৪নং ওয়ার্ডে মাদকের ব্যবসা নেই বললেই চলে। তবুও কোন ব্যক্তি যদি অতি গোপনে মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন তবে তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ।
বগুড়া সদর ফাঁড়ির আইসি মো:তাজমিলুর রহমান বলেন, বর্তমানের বগুড়া শহরে মাদকের ব্যবসা তুলনামূলকভাবে আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। শহরের হাড্ডিপট্টি এলাকা থেকে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমরা পাইনাই। তবে কেউ যদি অতি গোপনে মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে তবে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমরা তাদের এলাকা থেকে নির্মূল করে ফেলব।
বগুড়া শহরের সচেতন মহল মনে করেন, মাদক আমাদের সমাজের সবচেয়ে জটিল ও কঠিন একটি ব্যাধি। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মাদক ব্যবসায়ীদের কারবার কমিয়ে আসলেও কিছু মাদক ব্যবসায়ী নতুন কলাকৌশল অবলম্বন এর মাধ্যমে আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। প্রশাসনের সঠিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আমরা সমাজের সুস্থ স্বাভাবিক ভাবমূর্তি ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা করছি।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর