গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী, খুলনাসহ ১৪ জেলায় ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় ৬৪ এবং উপসর্গে মারা গেছে ২৯ জন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে মারা গেছে ১৭ জন। এদের মধ্যে করোনায় ১২ জন ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৫ জন। খুলনার তিনটি হাসপাতালে করোনায় মারা গেছে ১০ জন। উপসর্গে মৃত্যু হয়েছে একজনের। কুষ্টিয়ায় করোনায় মারা গেছে ৭ জন। টাঙ্গাইলে ৭ জনের তিনজন করোনা এবং ৪ জনের উপসর্গে মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃত্যু বাড়ছে বগুড়ায়। জেলার মোহাম্মাদ আলী ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলায় ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সংকটে বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে গত ১২ ঘন্টায় ৭ জনের মুত্যু হয়েছে। ঝুঁকিতে আছেন আরও ১০ রোগী। মুমূর্ষু করোনা রোগীরা প্রয়োজনীয় অক্সিজেন না পাওয়ায় এ নিয়ে দু-সপ্তাহে মারা গেছেন অন্তত ২৫ জন। দ্রুত সংকট কাটাতে না পারলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা চিকিৎসকদের।
করোনা রোগী বাড়তে থাকায় প্রায় এক মাস ধরে হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার সংকট দেখা দিয়েছে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে। গত দু-সপ্তাহে এই সংকটে ঠিকমতো অক্সিজেন পাননি অনেক রোগী। এতে অন্তত ২০ জনের প্রাণ রক্ষা করা যায়নি বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
এর মধ্যে গেলো বুধবারই মৃত্যু হয় ৮ জনের। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি আরও ৮ করোনা রোগী মৃত্যুঝুঁকিতে।
২৫০ শয্যার হাসপাতালে ৮টি আইসিইউ থাকলেও বর্তমানে হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা আছে মাত্র ২টিতে। সম্প্রতি সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁ ও জয়পুরহাটের অনেক রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাওয়ায়, প্রয়োজন কমপক্ষে ২০টি ক্যানোলা।
বগুড়ার মোহাম্মদ আলী জেনারেল হাসপাতালকে গেলো বছরের ২৯ মার্চ, শুধু করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করা হয়।
//ইয়াসিন//