কথা কাটকাটির জের ধরে এক ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে বেধরক পিটিয়ে করে গুরুত্বর আহত করে রাস্তায় ফেলে যায়। পরে হবিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করলে সে সেখানে
মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
হাসপাতালে ভর্তি জালাল উদ্দিন জানান, গতকাল সোমবার ৭নং কালানইজুরা ইউনিয়নপরিষদের সামনে তাকে ডেকে নেয় কালাইনজুড়া গ্রামের আব্দুল মছব্বির। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মছব্বিরের হাতে থাকা ক্রিকেট খেলার স্টাম্প নিয়ে বেধরক মারপিট করে মাথায় আঘাত করে আহত করে। এতে আমার সু-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ হাসাপাতালে ভর্তি করেন। তিনি আরো জানাযায়, গতকাল সোমবার বিকালে কালাইনজুড় গ্রাম থেকে সৈয়দ আখতারুজ্জামান মিজান, মাজহারুল ইসলাম মিঠু জ আমি হলদারপুর গ্রামের সেকুল ইসলাম এর বাড়িতে যাই জরুরী একটি কাজে। সেখানে কাজ শেষে টমটম যোগে বাড়িতে ফিরি। টমটমকি
কালানজুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনের এসে দাড়িয়ে আমরা গাড়ি থেকে নামে যারা যার পথে চলে যাওয়ার পথিমধ্যে আমাকে ডাক দেয় একই গ্রামের আব্দুল মছব্বির। তার ডাকে সারা দিয়ে তার সামনে যাওয়া মাত্রই বলে, তুই কেন মিজানের জায়গাতে চাষ করস? কাল থেকে আমি এখানে কাজ করমু, তুই এখানে আর যেতে পারবে না। এক পর্যায়ে আমি বলি মিজান সাহেবের কাছ থেকে চাষ করার জন্য আমি এসব জমি এনেছি। তিনি যদি তুমাকে তিনি দেন তাহলে তুমি করতে পারো, না হয় পারবেনা। এসব কথা বলার পরপরই পুর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা একই গ্রামের শাহ জাহান মিয়ার পুত্র আব্দুল মছব্বির (৪০) এর হাতে থাকা ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে জালাল উদ্দিনকে বেধবরক মারপিট করে মাথায় প্রচন্ড আঘাত করে। এতে জালাল উদ্দিনের চিৎকারে শুনে আশপাশে লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েছে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর থাকা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে আহত রোগীকে দেখে ছবি তুলে নিয়ে এসপি সাহেবকে দেখাবেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। এ ঘটনায় ঐ এলাকায় তমতমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পরিবারের সূত্রে জানা যায়।