আকাশ বগুড়া:
আদালতের চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তিনটি কাঁঠাল গাছ কেটে নিয়ে গেছে মহাস্থান জাদুঘরের কর্মচারীরা। এ ঘটনায় রবিবার সকালে মহাস্থান প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মহাস্থান গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মীর আলম ও তার খালা মিনা বেওয়া।
এ ব্যাপারে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা। অভিযোগ রয়েছে মহাস্থান প্রতান্ত্রিক জাদুঘরে কর্মরত ৪র্থ শ্রেণির মাস্টার রোল কর্মচারী নয়ন ও বাপ্পি মাযার এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে সরকারের অধিগ্রহণকৃত বসতবাড়ির দরজা, জানালা, টিনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র গোপনে খুলে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেছে। এ ছাড়াও গড় মহাস্থান গ্রামে যারা বসত বাড়ি নির্মান শুরু করে মামলা দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের নিকট থেকে অর্থিক সুবিধা নিয়ে থাকে।তারা সম্মেলনে বলেন, মহাস্থান গড় মৌজার ১৩৪৭ দাগের ১৭ শতক জমি সরকার স্বল্পমূল্যে অধিগ্রহণ করার চেষ্টা করলে জমির মালিক মীর আলম গং বাদী হয়ে জেলা বগুড়ার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মামলা করেন।
মামলা নং ৪৭/১৫ অন্য। উক্ত জমিতে যাতে বিবাদীগন জোরপূর্বক দখল করতে না পারে সে জন্য সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক বগুড়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বগুড়া (রাজস্ব) কে প্রধান বিবাদী করে মামলাটি দায়ের করা হয়। উত্ক মামলায় বিজ্ঞ আদালত বাদীদের পক্ষে এবং বিবাদী গণের বিরুদ্ধে গত ২৭/৭/১৯ ইং তারিখে চিরস্থাায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জাদুঘরের কর্মচারী মৃত জামিলের ছেলে নয়ন ও আজিজারের ছেলে বাপ্পী উক্ত জমিতে গত শনিবার সকালে অনুপ্রবেশ করে জোরপূর্বক তিনটি ফলজ কাঁঠাল গাছ কেটে নিয়ে যায়। এ সময় জমির মালিক গাছ কাটতে নিষেধ করলে তারা মিথ্যা মামলার ভয় দেখায়।
উক্ত সম্মেলনে আরো বলা হয় ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানার সাথে দেখা করে গাছ কর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কাউকে গাছ কাটার অনুমতি দেইনি। তবে গাছ কর্তনকারী নয়ন ও বাপ্পি জানায়, প্রতœতত্ত্ব বিভাগ রাজশাহী অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মজিবুর রহমান তাদের গাছ কাটতে নির্দেশ দিয়েছেন।আদালতের চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তিনটি কাঁঠাল গাছ কেটে নিয়ে গেছে মহাস্থান জাদুঘরের কর্মচারীরা।
এ ঘটনায় রবিবার সকালে মহাস্থান প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মহাস্থান গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মীর আলম ও তার খালা মিনা বেওয়া।এ ব্যাপারে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা। অভিযোগ রয়েছে মহাস্থান প্রতান্ত্রিক জাদুঘরে কর্মরত ৪র্থ শ্রেণির মাস্টার রোল কর্মচারী নয়ন ও বাপ্পি মাযার এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে সরকারের অধিগ্রহণকৃত বসতবাড়ির দরজা, জানালা, টিনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র গোপনে খুলে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেছে। এ ছাড়াও গড় মহাস্থান গ্রামে যারা বসত বাড়ি নির্মান শুরু করে মামলা দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের নিকট থেকে অর্থিক সুবিধা নিয়ে থাকে।