মিথুন পাটগ্রাম লালমনির হাট।।
লালমনির হাট পাটগ্রাম উপজেলার রসুলগন্জ হাট বাজারে খুচরা ও পাইকারি চাউলের বাজারে চটের বস্তার পরির্বতে প্লাস্টিকের বস্তায় বিক্রি হচ্ছে চাউল এর সত্যতা যাচাই করার পদক্ষেপ নেন
পাটগ্রাম উপজেলার বর্তমানের নির্রবাহী কর্মকর্তা শ্রী ডিপক কুমার দে আজ সকাল ১১ঘটিকায় বিভিন্ন চাউল ব্যবসায়ী দের প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন করেন।
পাটের বস্তায় করা বাধ্যতামূলক করেছিল বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের কড়া নির্দেশ ছিল, এই দুটি পণ্যে কোনো প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করা যাবে না।
কিন্তু সরকারের এই নির্দেশ মানছেন না চালকলমালিকেরা। চাল এখনো প্লাস্টিকের বস্তায় বিপণন হচ্ছে।
আবার খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, চালকল থেকে যে বস্তায় চাল পাবেন, সেই বস্তাতেই তাঁরা বিক্রি করবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের কিছু করার নেই। আর চালকলমালিকেরা বলছেন, তাঁরাও পাটের বস্তা ব্যবহার করতে চান। এ ক্ষেত্রে সরকারকে প্রয়োজনীয়সংখ্যক বস্তার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে দাম কমাতেও ভূমিকা রাখতে হবে। না হলে চালের দাম বেড়ে যাবে। প্রভাব পড়বে ভোক্তার ওপর।
সরকারের সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছিলেন অনেক পাটকলমালিক। কিন্তু এখনো প্লাস্টিকের বস্তায় চাল বিপণন হওয়ায় হতাশ তাঁরা।
২০১০ সালে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক আইন করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। সরকারিভাবে ধান, চাল ও গম বাজারজাত করার ক্ষেত্রে খাদ্য অধিদপ্তরই শতভাগ পাটের বস্তা ব্যবহার করে। কিন্তু বেসরকারি চালকলমালিকেরা আইনটি উপেক্ষাই করে আসছেন।
সে কারণেই ধান ও চালের মোড়কীকরণে পাটের বস্তা ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করে গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।